Advertisement
Advertisement
দিঘায় জনোচ্ছ্বাস

সরস্বতী পুজোয় লম্বা ছুটির জের, বড়দিনের রেকর্ড ভাঙল দিঘা

এই সুযোগে হোটেল মালিকরা ঘরের ভাড়া অনেক বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ।

Thousands of tourists throng Digha on Saraswati Puja
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:January 30, 2020 4:11 pm
  • Updated:January 30, 2020 4:37 pm   

রঞ্জন মহাপাত্র, দিঘা: সরস্বতী পুজোয় সরকারি কর্মীদের টানা পাঁচদিনের ছুটির জেরে বড়দিনের রেকর্ড ভেঙে দিল দিঘা (Digha) র জনোচ্ছ্বাস। বৃহস্পতিবার দুপুরে অমরাবতী পার্কে ভিড় এতটাই ছিল যে প্রাথমিকভাবে দেখলে মনে হয় যেন মেলা বসেছে। সৈকত নগরীতে এতটা ভিড় হওয়ায় নজরদারি বাড়াতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ, প্রশাসন।

Advertisement

Digha

কিন্তু, এর মধ্যেও হোটেলগুলিতে কালোবাজারির খামতি নেই। ৮০০ টাকার হোটেলের ঘরের জন্য নেওয়া হচ্ছে ৪০০০ টাকা। যে সমস্ত ডিলাক্স রুম দু’দিনের ভাড়া নেওয়া হয় ৪ হাজার। সেটি একলাফে ১০ হাজার হাঁকছে বলে অভিযোগ পর্যটকদের। তবে হোটেলের ঘর নিয়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসছে মন্দারমণি থেকে। সেখানে এমনিতেই হোটেলের ঘর ভাড়া দিঘার তুলনায় বেশি। কিন্তু, আজ দৈনিক ডিলাক্স বা কটেজের ভাড়া দশ হাজার ছাড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পর্যটকরা।

[আরও পড়ুন: ছাত্রীরাই পুরোহিতের আসনে, দেড় দশক ধরে কলেজে প্রথাভাঙা পথে সরস্বতী বন্দনা ]

 

অনেকে আবার ঘর না পেয়ে কাঁথির বিভিন্ন হোটেলে নিজেদের পরিবারকে নিয়ে ঢুকে পড়েছেন। শংকরপুর ও উদয়পুর থেকে শুরু করে হলদিয়া। জেলার অন‌্য সমস্ত টুরিস্ট স্পটগুলিতেও আজ পর্যটকদের ভিড়ে ‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই’ রব উঠেছে। হোটেলের ঘর ভাড়ার পাশাপাশি খাবারের মান ও দাম নিয়েও বিস্তর অভিযোগ করছেন কলকাতা ও অন‌্য জেলা থেকে আসা হাজার হাজার পর্যটক।

[আরও পড়ুন: স্ত্রী-মেয়েকে খুন করে পুঁতে রাখল যুবক, ক্ষোভে অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন ]

 

অধিকাংশের অভিযোগ, খাবারের মান যেমন খারাপ হচ্ছে, তেমনই দামও বেশি নিচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেস্তরাঁর কর্মীরাও স্বীকার করছেন, ‘এতবেশি সংখ‌্যায় মানুষ ভিড় করে খাবার চাইছেন যে তা তৈরি করতে হিমশিম খাচ্ছি আমরা। তাড়াতাড়ি তৈরি করতে গিয়ে অনেক সময় মান ঠিক রাখা যাচ্ছে না।’ যদিও হোটেল সংগঠনগুলির দাবি, হোটেলগুলি থেকে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার কোনও অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ, পেলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে দিঘার অধিকাংশ হোটেলেই বুকিং শেষ। যাঁরা হোটেল পাননি তাঁদের হয়তো রাত কাটাতে হতে পারে সমুদ্রপাড়ে অথবা ফাঁকা মাঠে।

Digha

এপ্রসঙ্গে কাঁথির SDPO অভিষেক চক্রবর্তী জানান, দিঘায় ভিড় সামলাতে সৈকতে থাকছে পর্যাপ্ত নুলিয়া ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা। এবছর বড়দিন ও বর্ষবরণ পড়েছিল সপ্তাহের মাঝে। তাই তখন বেশি পর্যটক আসেননি। কিন্তু, এবারের ছুটি সবাই উপভোগ করছেন।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ