প্রতীকী ছবি
সুমন করাতি, হুগলি: চতুর্থীর রাতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ঠাকুর আনতে গিয়ে মৃত্যু তিনজনের। আহত তিন। তাঁরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলিতে। পুজোর আবহে এই দুর্ঘটনায় শোকের আবহ গোটা পাড়ায়।
মৃতদের নাম ভাস্কর দেবধারা (২৯), প্রীতম চক্রবর্তী (৩০) ও স্বপন দে (৪০)। তাঁদের মধ্যে ভাস্করের বাড়ি সুগন্ধা শংকরবাটি এলাকায়। বাকি দু’জন চন্দননগর কাঁটাপুকুর এলাকার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, ঠাকুর অন্য একটি গাড়িতে তুলে চারচাকা গাড়িতে ফিরছিলেন ৬জন। চন্দননগর রেল ওভারব্রীজ থেকে নামার সময় দ্রুত গতিতে ছুটতে থাকা গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এরপরই রাস্তার পাশে সাজিয়ে রাখা ইটের দেওয়ালে সজোরে ধাক্কা মারে সেটি। গাড়িটিতে চালক-সহ ছিলেন ৬জন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের। চারজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা চন্দননগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চন্দননগর ও পোলবা থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠাকুর আনতে গিয়েছিলেন পোলবার শংকরবাটি বারোয়ারির সদস্যরা। ঠাকুর অন্য গাড়িতে তুলে ৬জন সদস্য দুর্ঘটনাগ্রস্ত চারচাকা গাড়িতেই ফিরছিলেন। ঠাকুরের গাড়ি গ্রামে পৌঁছে গেলেও ওই ছয়জন ফেরেননি। বাকি সদস্যরা ফোন করতে পুলিশ ফোন তুলে জানায় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন ৬জন। যার জমির সামনে ইটে সাজানো ছিল তিনি জানান, গাড়িটি প্রচণ্ড গতিতে এসে ধাক্কা মারে। গাড়িতে মদের বোতল পাওয়া গিয়েছে। সম্ভবত ওরা মদ্যপান করেছিল। ঘটনার তদন্তে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.