Advertisement
Advertisement

স্ত্রীকে ৮ টুকরো করে খুন, নৃশংস অপরাধে যাবজ্জীবন স্বামী-সহ তিনজনের

খুনের ঘটনার ১৪ বছর পর সুবিচার পেলেন নিহতের পরিবার।

Three of a family from Raiganj awarded life in jail for murder
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:November 14, 2019 6:26 pm
  • Updated:November 14, 2019 6:26 pm   

শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: বধূকে খুনের ১৪ পর বছর যাবজ্জীবন কারাদন্ড হল স্বামী, শাশুড়ি ও ননদের। বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্টের বিচারক বিনয় কুমার প্রসাদ এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পরই কান্নায় ভেঙে পড়ে দোষীরা।

Advertisement

২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে মহিদুল আলম নামে ওই শিক্ষকের সঙ্গে বিয়ে হয় সাবিনা বিবির। বিয়ের সাত থেকে আট মাসের মাথায় হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান সাবিনা। ২ দিন পর এলাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার হয় সাবিনার দেহাংশ। এরপরই সাবিনার বাবা হাকিমুদ্দিন জামাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় মহিদুলকে। সেই মামলার রায় ঘোষণা হল এদিন। আদালতের সরকারি আইনজীবী তরুণ সরকার বলেন, ২০০৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মাসে স্ত্রীকে খুন করেছিল মহিদুল। পলিথিনের মধ্যে মিলেছিল মাথা-সহ বিভিন্ন দেহাংশ। মামলা শুরুর পর জামিনও পেয়ে গিয়েছিল মহিদুল। বৃহস্পতিবার তাকে রায়গঞ্জ আদালতে তোলা হয়। এদিনই তাকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করা হয়। খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হয়েছে মহিদুলের মা ও দিদিরও। আইনজীবী স্বরূপ বিশ্বাস জানিয়েছে, অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করা হয়েছিল। ১৪ বছর মামলা চলার পর বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা হল।

[আরও পড়ুন: কলেজে মাদক সেবন! প্রতিবাদ করায় মাথা ফাটল এবিভিপি নেতার]

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে রায়গঞ্জের একটি স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন মহিদুল। ইটাহারে বাড়ি থাকলেও স্ত্রীকে নিয়ে স্কুলের কোর্য়াটারেই থাকতেন তিনি। জানা গিয়েছে, একদিন কোয়ার্টারে অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় স্ত্রীকে উদ্ধার করেন মহিদুল। এরপরই ক্রোধের বশেই স্ত্রীকে খুন করে ওই শিক্ষক। অভিযোগ, সেই খুনের সহযোগিতা করেছিল মহিদুলের মা ও দিদি।

[আরও পড়ুন: পাঞ্চেত ড্যাম উদ্বোধনে নেহরুকে মালা পরানোর ‘অপরাধ’, সাঁওতাল সমাজে আজও ব্রাত্য বুধনি]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ