Advertisement
Advertisement
Tigress Jinaat

আয়োজনই সার! রাতেও ধরা দিল না বাঘিনী ‘জিনাত’, রবির সকালেও আতঙ্ক বাঁকুড়ায়

শনিবার রাত জেগেছে গোঁসাইডিহি গ্রামের বাসিন্দারা।

Tigress Jinaat still at run in Bankura

আগুন জ্বেলে বাঘিনীর অপেক্ষায় বনকর্মীরা। বাঁকুড়া। নিজস্ব চিত্র

Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 29, 2024 9:19 am
  • Updated:December 29, 2024 10:19 am  

টিটুন মল্লিক ও দেবব্রত দাস: জ্বালানো হয়েছিল আগুন। ঘেরা হয়েছিল জাল দিয়ে। এমনকী ফ্লাশ লাইটও জ্বালিয়ে দিয়েছিল বনদপ্তর। তারপরেও রাতভর অপেক্ষায় কাটল বনকর্মীদের। দেখা মিলল না বাঘিনী ‘জিনাত’ ওরফে ‘গঙ্গা’র। রবিবার সকালেও তার আতঙ্কে কাঁটা বাঁকুড়ার গোঁসাইডিহির বাসিন্দারা।

Advertisement

শনিবার রাত জেগেছে গোঁসাইডিহি গ্রামের বাসিন্দারা। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাঁদের বাড়ি থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যা নিয়ে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট তাঁরা। গতকাল সকালেই ওই এলাকারই কংসাবতী রানিবাঁধে বাঘিনির থাবার ছাপ মিলেছিল। বোঝা গিয়েছিল, সেচখালের পাশে দেড় হেক্টর জমিতে আশ্রয় নিয়েছে সে। সেখান থেকেই জিনাতকে ধরার জন্য ডবল নেটের জাল দিয়ে গোটা এলাকা মুড়ে ফেলে বনকর্মীরা। এমনকী, বাঘিনীকে লক্ষ্য করে ঘুমপাড়ানি গুলিও চালান অভিযানের সঙ্গী শুটাররা। তবে ঘুমপাড়ানি গুলিতে জিনাতকে কাবু করা যায়নি বলেই মনে করা হচ্ছে।

বহাল তবিয়তেই গোঁসাইডিহির কংসাবতী সেচখালের পাশে জঙ্গলপূর্ণ জমিতে রাত কাটিয়েছে জিনাত ওরফে গঙ্গা। বাঘিনিটি যাতে নেট ফেনসিং কেটে পালিয়ে যেতে না পারে তার জন্য নেটের বাইরে আগুন জ্বালিয়ে রাখা হয়। শুক্রবার রাতের শিক্ষা নিয়ে ১০ মিটার অন্তর অন্তর নেট ফেনসিং বরাবর একজন করে কর্মীকে রাখা হয়। সুন্দরবনের দু’জন শুটার গাছের উপরে অপেক্ষায় ছিলেন। বাঘিনির অবস্থানের খুব কাছে একটি জেসিবি রাখা হয়। তার বাকেটে সিমলিপালের শুটার দুজন ছিলেন। আকাশে ড্রোন ওড়ানো হয়। তবে বাঘিনির অবস্থান একই জায়গায় রয়েছে বলে প্রযুক্তির সাহয্যে জানা যায়। এরই মধ্যে সন্ধ্যা নেমে আসায় বনদপ্তরের পক্ষ থেকে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অন্ধকারে নেট ফেনসিংয়ের বাইরে আগুন লাগানো হয়। তাতেও অবশ্য কোনও লাভ হয়নি। এখনও নাগালের বাইরেই ‘জিনাত’।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement