সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: প্রথম বিয়ে লুকিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন তৃণমূল নেতা। প্রথম বিয়ের কথা জানতে পেরে প্রতিবাদ করেছিলেন দ্বিতীয় স্ত্রী। মুখবন্ধ রাখতে ওই তরুণীকে খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই তরুণী। এই কথা জানাজানি হতেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ওই তৃণমূল নেতাকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, নদিয়ার শান্তিপুরে। অভিযুক্তের নাম সুব্রত সরকার। প্রসঙ্গত, মেদিনীপুরে তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলে প্রকাশ্য রাস্তায় এক বৃদ্ধ বামকর্মীকে মারধর করেছিলেন বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ নির্দেশ দিয়েছেন, কোনও নেতা-কর্মীর জন্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হলে, তাঁকে রেয়াত করা হবে না। সেই পথেই এবার শান্তিপুরের ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুব্রত সরকারকে পথ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা অংশ।
সুব্রত সরকার কিছু সময় আগেই শান্তিপুরের ব্লক তৃণমূল সভাপতির পদে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি বিবাহ করেন। পরে জানা যায়, তাঁর প্রথমপক্ষের স্ত্রী আছেন। অভিযোগ, সেই কথা গোপন করেই তিনি দ্বিতীয় বিবাহ করেছিলেন। দ্বিতীয়পক্ষের স্ত্রী সেই কথা জানতে পেরে যান। তারপরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল বিবাদ শুরু হয়। সুব্রত স্ত্রীকে খুনের হুমকি দেন বলে অভিযোগ। এরপরই ওই তরুণী থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনা জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছড়ায়। এরপরেই জানা যায়, ওই তৃণমূল নেতাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় জানান, বিতর্ক তৈরি হওয়ায় সুব্রত সরকারকে আপাতত পদ থেকে সরানো হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও সুব্রত জানিয়েছেন, তিনি কোনও অফিসিয়াল অপসারণপত্র পাননি। আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে কোনওভাবেই ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছে না, তৃণমূল। তাই দ্রুত এই পদক্ষেপ। এমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.