তল্লাশি চালাচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা। নিজস্ব চিত্র
রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: ব্রাউন সুগার-সহ গ্রেপ্তার হলেন খোদ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। বাড়ি ও তাঁর অফিস থেকে মিলল বেশ কিছু পরিমাণ মাদক। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আলিপুরদুয়ারের ডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ওই তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি ছাড়াও আরও এক যুবককে পাকড়াও করা হয়েছে। ধৃত তৃণমূল নেতা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। এদিকে এই ঘটনায় শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক তরজা।
পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে মাদক পাচারের খবর এসেছিল। সেই মতো গতকাল সোমবার রাতে মাঝের ডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েতের (পশ্চিম) অঞ্চল সভাপতি বিষ্ণু রায়ের বাড়িতে হানা দেন পুলিশ আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয়। বিষ্ণু রায় স্থানীয় সরকারি হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসেবেও নিযুক্ত। বাড়ির অদূরেই রয়েছে তাঁর কার্যালয়। সেখানেও তল্লাশি চালানো হয়। বাড়ি ও কার্যালয় থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু পরিমাণ ব্রাউন সুগার। তাঁর বাড়িতে এক অপরিচিত যুবককেও দেখতে পাওয়া যায়। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাস করেন তদন্তকারীরা।
জানা যায়, ওই যুবক মালদহের বাসিন্দা। মাদক ডেলিভারির জন্য তিনি সেখানে এসেছিলেন। ধৃতদের থেকে তিনটি মোবাইল ফোন, বেশ কিছু পরিমাণ টাকা ও কাগজপত্র উদ্ধার হয়েছে। ওই তৃণমূল নেতা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। এমনই অনুমান পুলিশের। ধৃতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে ঘটনা জানাজানি হতেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে।
এই ঘটনা কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। দল অভিযুক্তের পাশে থাকবে না। আইন অনুসারে তদন্ত হবে। এই কথা জানিয়েছেন, আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল নেতা পরিতোষ বর্মণ। কেবল আলিপুরদুয়ার নয়, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় মাদক পাচার হচ্ছে। আর এই কাজে কেবল মদত নয়, সরাসরি তৃণমূলের নেতারা জড়িত। এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.