সুমন করাতি ও টিটুন মল্লিক: বিধানসভা ভোটের আগে সমবায় নির্বাচনে দিকে দিকে জয়ী তৃণমূল। হুগলির চুঁচুড়া এবং বাঁকুড়ার বড়জোড়ার সমবায় সমিতির নির্বাচনে উড়ল সবুজ আবির। চুঁচুড়ার রাজহাট সমবায় সমিতি এবং বড়জোড়ার ঘুটগড়িয়া কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী শাসক শিবির।
জানা গিয়েছে, গত চারটি নির্বাচনেই রাজহাট সমবায় সমিতি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে আসছে তৃণমূল। গতবার এই সমবায় সমিতিতে ৪৬ জন সদস্য ছিলেন। এবার সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৭। রবিবার ফের সমবায় সমিতি দখলের পর শাসক শিবিরে খুশির হাওয়া। সবুজ আবির উড়িয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। এই প্রসঙ্গে বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, “যাঁরা আমাদের দলের সমর্থক তারা তো ভরসা করেনই। আবার বিরোধীরাও তৃণমূলের উপরেই ভরসা রেখেছে। তাই তাঁরা মনোনয়ন জমা দেননি। এ বিষয়ে বিজেপির সুরেশ সাউয়ের অভিযোগ, রাজহাট সমবায় নির্বাচন চুপিসারে করা হয়েছে। বিরোধীরা জানতেই পারেনি কবে মনোনয়ন জমার দিনক্ষণ ছিল। তাই তাঁরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি। আর তাই স্বাভাবিকভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে শাসক শিবির। যদিও বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে সমবায়ের পরিচালন সমিতি। কর্তৃপক্ষের দাবি, খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে এই নির্বাচনের কথা জানানো হয়। মনোনয়ন জমা নেওয়া হয়েছে। বিরোধী কোনও দলের মনোনয়ন জমা না পড়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল।
এদিকে, বড়জোড়ার ঘুটগড়িয়া কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতিতে মোট আসন ৪৬টি। তৃণমূল প্রতিটি আসনে প্রার্থী দেয়। বিজেপি কোনও প্রার্থী দেয়নি। সিপিএম ৬টি আসনে অংশগ্রহণ করে। তার ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় শাসক শিবির। বড়জোড়া ব্লকের তৃণমূল সভাপতি কালীদাস মুখোপাধ্যায় বলেন, “জনতার পাশে থেকে কাজ করার ফলেই মানুষের আস্থা আমাদের প্রতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বিজয় আমাদের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে নতুন শক্তি জোগাবে।” তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা অকাল হোলিতে মেতে ওঠেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.