Advertisement
Advertisement
TMCP

‘বাপের ব্যাটার দম থাকলে…’, বোলপুরের IC-কে হুমকি! সাসপেন্ডেড TMCP নেতা

এই IC-কেই ফোনে হুমকির অভিযোগে অনুব্রতর বিরুদ্ধে সরগরম জেলার রাজনৈতিক মহল।

TMCP district president suspended for six years over allegedly threating IC, Bolpur
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 1, 2025 6:51 pm
  • Updated:June 1, 2025 7:56 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: পুলিশ আধিকারিককে ফোনে অনুব্রত মণ্ডলের হুমকির ভাইরাল অডিও ঘিরে এই মুহূর্তে শোরগোল বীরভূমের রাজনৈতিক অন্দরমহল। দলের নির্দেশে যদিও অনুব্রত নিজে এনিয়ে লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন, তা সত্ত্বেও বিতর্কের সমাপ্তি ঘটেনি। রবিবার আবার তাঁর এক অনুগামী দাবি করেন, বোলপুরের আইসি লিটন হালদারকে ফোনে হুমকি দেওয়ার কণ্ঠস্বরটি নেতার নয়, তা AI দিয়ে বানানো হয়েছে। এসবের মাঝে সেই আইসি-কেই অশালীন ভাষায় হুমকি দেওয়া টিএমসিপির জেলা সভাপতির ভিডিও প্রকাশ্যে এল। নতুন করে দানা বাঁধল বিতর্ক। এই ঘটনার পরই কড়া পদক্ষেপ করল শাসকদল তৃণমূল। ৬ বছরের জন্য ওই নেতাকে সাসপেন্ড করা হল।

যদিও তৃণমূলের ওই ছাত্রনেতা বিক্রমজিৎ সাউ ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন, ওই ভিডিওটি পুরনো এবং দলের নির্দেশ আসার আগে তিনি মুছে দিয়েছেন, ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন।

বোলপুরের আইসি লিটন হালদারকে হুমকি দিয়ে অনুব্রতর ভাইরাল অডিও নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। যদিও সেই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল‘। এনিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরের মাঝে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি বিক্রমজিৎ সাউয়ের হুমকি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। তাতে আইসি লিটন হালদারের নাম করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে।

অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর ঘনিষ্ঠ বিক্রমজিতের বক্তব্য, ”এই লিটন হালদার অনুব্রত মণ্ডল নামক ব্র্যান্ডকে দমানোর চেষ্টা করছেন। লিটন হালদার কাপুরুষ! লিটন হালদারকে বলছি, বাপের ব্যাটার দম থাকলে সামনে এসে সত্যিটা বলো। তুমি অনুব্রত মণ্ডল নামের শক্তিকে তোমার অপকর্ম দিয়ে দমনের চেষ্টা করেছ। এডিটিং করে তাঁর কণ্ঠস্বর তুলে এনে মার্কেটে ছড়ানোর চেষ্টা করেছ। কিন্তু মনে রেখো, তোমার এসব কাজে অনুব্রত মণ্ডল নামের শক্তিকে দমানো যাবে না।” এই হুমকির জন্য তাঁর বিরুদ্ধে সিউড়ি থানায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

যদিও বিক্রমজিতের দাবি, ওই ভিডিও পুরনো এবং তা তিনি মুছেও দিয়েছেন। রবিবার দলের তরফে তাঁকে সাসপেনশনের চিঠি পাঠানোর পরই ফেসবুক পোস্টে এসব দাবি তুলে ক্ষমা চেয়েছেন। তাতে অবশ্য কোনও লাভ হয়নি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য সাসপেনশনের চিঠিতে লিখেছেন, ”৬ বছরের জন্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদ থেকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে, দ্রুত তা কার্যকর হল। দলবিরোধী কাজের জন্য দল সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আশা করি, বাকি সদস্যরা দলের সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখবে।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement