Advertisement
Advertisement

আত্মঘাতী মা, ঠাকুরমার সঙ্গে জেলে গেল ২ বছরের শিশুও!

ঠাকুরমার সঙ্গে শিশুটিকেও জেলে পাঠিয়েছে আদালত।

Toddler in jail with grandmother
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:January 1, 2019 11:41 am
  • Updated:January 1, 2019 11:41 am   

ধীমান রায়, কাটোয়া: এক মাস আগে আত্মঘাতী হয়েছেন মা। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত বাবা ও ঠাকুরদা আগেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। বর্তমানে তাঁরা জেল হেফাজতে। সেই থেকেই ঠাকুমার কাছে ছিল দু’বছরের শিশু। কিন্তু ঠাকুমাও একই মামলায় অভিযুক্ত থাকায় তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফলে ধৃত ঠাকুমার সঙ্গেই ওই একরত্তিরও ঠাঁই হয়েছে জেলে। আদালতের নির্দেশে আগামী ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ঠাকুরমার সঙ্গে তাকেও জেলে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

রবিবার রাতে নর্জা গ্রাম থেকে খ্যান্ত সামন্ত নামে এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। খ্যান্তদেবীর সঙ্গেই তার নাতি অর্ণবকে (২) সোমবার পাঠানো হয়েছে জেলে। বর্তমানে নিরাশ্রয় অর্ণব। একমাস আগে নর্জা গ্রামে শ্বশুরবাড়িতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন মিঠু সামন্ত (১৯) নামে এক গৃহবধূ। পরিবার সূত্রে খবর, ছেলেকে খেতে না দিয়ে মোবাইল নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করায় সেদিন শাশুড়ি ভর্ৎসনা করেন মিঠুদেবীকে। অভিমানে  আত্মঘাতী হন তিনি।

ঘটনার পর মৃতার বাবা মন্তেশ্বর থানার চন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা সন্তোষ ঘোষ মৃতার স্বামী কপিল সামন্ত, শ্বশুর হরি সামন্ত ও শাশুড়ি খ্যান্তদেবীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের পরেই মৃতার স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে মিঠুদেবীর মৃত্যুর পর তার বাপের বাড়ির কেউ নিয়ে যায়নি দু’বছরের অর্ণবকে। ঠাকুমার কাছেই ছিল বাচ্চাটি। রবিবার ঠাকুমা গ্রেপ্তার হওয়ার পর ধৃত ক্ষ্যান্তদেবীর সঙ্গেই রয়েছে অর্ণব। খ্যান্তদেবী বলেন, “বউমা মারা যাওয়ার পর থেকে আমার কোল ছাড়ছে না নাতি। বাড়িতেও দেখার কেউ নেই।”

[বছরের প্রথম সকালে কল্পতরু উৎসব, ভক্তদের ভিড় কাশীপুর উদ্যানবাটিতে]

ছবি: জয়ন্ত দাস  

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ