Advertisement
Advertisement
Turmeric

নমুনা পরীক্ষায় ‘ফেল’ নামী ব্র্যান্ডের হলুদ, বিস্কুট! বর্ধমানে বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা

ওই সংস্থার বিস্কুট, চানাচুর বিক্রিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।

Turmeric powder of famouse brand banned after getting 'fail' in sample taste

প্রতীকী ছবি।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 24, 2024 1:46 pm
  • Updated:October 24, 2024 1:49 pm  

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: একটি নামী ব্র্যান্ডের হলুদ, বিস্কুট, চানাচুরের নমুনা পরীক্ষায় চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট। পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে নেওয়া নমুনা রিপোর্ট ‘আনসেফ’। অর্থাৎ ওই সব সামগ্রী খাওয়ার উপযুক্ত নয়। রিপোর্ট আসার পরেই নিয়ম মেনে ওই সব ব্র্যান্ডের সামগ্রী বিক্রি নিষিদ্ধ করল জেলা খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর। জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ (২) তথা খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী বুধবার জানান, একইসঙ্গে ওই সব খাদ্যসামগ্রী উৎপাদনকারী তিনটি সংস্থাকে চিঠি দিয়ে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫ এপ্রিল গলসি-২ ব্লকের খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক একটি নামী সংস্থার ‘ই-টাইম’ বিস্কুটের ৩০৬ গ্রামের প্যাকেট সংগ্রহ করেছিলেন। সেই নমুনা পরীক্ষায় ফেল করেছে সে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, তা ‘আনসেফ’। গত ২৪ জুলাই মেমারি-২ ব্লকের খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক নামী ব্র্যান্ডের গুঁড়ো হলুদের ৫০০ গ্রামের প্যাকেট সংগ্রহ করে নমুনা পরীক্ষায় পাঠিয়েছিলেন। ওই হলুদ গুঁড়ো খাওয়া নিরাপদ নয় বলে রিপোর্ট এসেছে।

এদিকে, গত ২৫ জুন রায়না-২ ব্লকে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীর নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন সেখানকার খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক। তার মধ্যে একটি সংস্থার চানাচুরের রিপোর্টে খাওয়ার অনুপযুক্ত রিপোর্ট এসেছে। ডেপুটি সিএমওএইচ (২) জানান, ওই সব খাদ্যসামগ্রীর সংশ্লিষ্ট ব্যাচ নম্বরের সমস্ত ‘প্রোডাক্ট’ বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে ওই সব খাদ্যসামগ্রীর উৎপাদনের তারিখ বা নমুনা সংগ্রহের পর রিপোর্ট পেয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণার মধ্যে দীর্ঘ সময়ের অন্তর রয়েছে। এতদিন পর যে খাদ্যসামগ্রী নিষিদ্ধ করা হল, তা আদৌ আর বাজারে অবশিষ্ট আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সুবর্ণবাবু জানান, নমুনা সংগ্রহ করে রিপোর্ট আসতে সময় লাগে। রিপোর্ট না পেলে তো নিষিদ্ধ করা যায় না।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement