অর্ণব দাস, বারাকপুর: বরানগরে সোনার দোকানে ডাকাতি ও ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রকারী-সহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যদিও বাকি দুই অভিযুক্ত এখনও অধরা। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে বারবার ঠিকানা বদল করছে তারা। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পুলিশকে।
জানা গিয়েছে, দুই অভিযুক্তের মধ্যে একজন বিহারের। সে জেলবন্দি রাকেশ দাসের আত্মীয়। অপর এক দুষ্কৃতীর বাড়ি কলকাতায়। পকসো মামলায় সে জেল খেটেছে বলেই খবর। তাকে ধৃত সুরজিৎ সিকদারের সঙ্গে ক্রেতা সেজে শম্ভুনাথ দাস লেনের শংকর জানার সরস্বতী চেন এন্ড অর্নামেন্টসে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল। এই দুজনের কাছেও লুটের বেশ কিছু পরিমান সোনা রয়েছে বলেই জেনেছে তদন্তকারীরা। দুজনেই ঘন ঘন এলাকা পরিবর্তন করছে বলেই তাদের গ্রেপ্তার করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ-সহ বয়ান যাচাই করে বারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা জেনেছে, ডাকাত দলের পরিকল্পনা ছিল ১৫ মিনিটের মধ্যে অপারেশন শেষ করতে হবে। সেই মতই আততায়ীরা বেলা ৩টে ৭ মিনিটে দোকানে ঢুকেছিল, বেরিয়েছে ৩টে ২২ মিনিটে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে এমনটাই দেখা গেছে বলেই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। দোকানে নগদ কমবেশি ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকাও ছিল। জায়গা ও সময়ের অভাবে দুষ্কৃতীরাই নগদ টাকা নেয়নি বলেও জানা গিয়েছে। পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মা জানিয়েছেন, “জেলবন্দি অভিযুক্তকে জেলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাকে পুলিশি হেফাজতে নিতে দ্রুত আদালতে আবেদন করা হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.