Advertisement
Advertisement
Panihati

পানিহাটি পুরপ্রধানের নাম, ছবি ব্যবহার! ভুয়ো পরিচয়ে প্রোমোটিংয়ের প্রস্তাব দিয়ে গ্রেপ্তার ২

ধৃতদের বিরুদ্ধে কমবেশি ২০টি প্রতারণার মামলা আছে, জানাল পুলিশ।

Two arrested allegedly doing fraud with the name of Chairman, Panihati Municipality
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 12, 2025 7:43 pm
  • Updated:July 12, 2025 7:46 pm   

অর্ণব দাস, বারাকপুর: হোয়াটসঅ্যাপ ডিপিতে পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানের ছবি, তাঁর নাম করেই ফোন করে প্রোমোটিংয়ের প্রস্তাব। তাও আবার কলকাতা কর্পোরেশনের এক বরো চেয়ারম্যানকে! এত বড় প্রতারণার অভিযোগ পেতেই খড়দহ থানায় চেয়ারম্যান সোমনাথ দে পুলিশের দ্বারস্থ হন। আর তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতেই গ্রেপ্তার হল দুজন। ধৃতরা বছর আটত্রিশের শুভজিৎ রায় এবং ২৪ বছরের বিক্রম রায়। দু’জনেরই বাড়ি দত্তপুকুর থানার নেতাজিপল্লি এলাকায়। শনিবার তাদের বারাকপুর আদালতে পেশ করা হলে ৫দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

Advertisement

জানা গিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপে পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ দে’র ছবি ব্যবহার করে এবং তাঁর নাম করে কলকাতা কর্পোরেশনের ১২নম্বর বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষকে কাছে ফোন করে ধৃত দুই যুবক। তাঁকে প্রোমোটিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কথাবার্তা বলতে গিয়ে ওই বরো চেয়ারম্যানের সন্দেহ হয়। তারপর তিনি বিষয়টি বারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিককে জানান। যে নম্বর থেকে ফোন এসেছিল, সেটিও জানান সাংসদকে।

এরপরই বিষয়টি জানতে পারেন পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ দে। শুক্রবার খড়দহ থানায় অভিযোগ জানান সোমনাথবাবু। তিনি বলেন, “বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষকে আমার নাম ছবি ব্যবহার করে ফোন করা হয়েছিল। যেভাবে সাইবার ক্রাইম বাড়ছে, তাতে সত্যি আমরা ভীত। এর আগেই ফোনে আমাদের দলের একাধিক নেতৃত্বকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাই চাইব সত্যি উদ্ঘাটিত হয়ে মানুষের সামনে আসুক।”

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত শুভজিৎ ও বিক্রমের নামে একাধিক থানায় কমবেশি ২০-২২টি অভিযোগ রয়েছে। বেশিরভাগই প্রতারণার। আগেও অনেকবার তাদের গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। বিগত ছয়-সাত মাস আগেও প্রতারণার অভিযোগ এই দুজনকে গ্রেপ্তার করেছিল ঘোলা থানার পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে সোদপুর অমরাবতী মাঠ সহ বারাকপুরেরও একটি মাঠ বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে বলেই সূত্রের খবর। তাই, পানিহাটির চেয়ারম্যানের নাম ও ছবি ব্যবহার করে কলকাতা কর্পোরেশনের বরো চেয়ারম্যান ছাড়াও আর কাউকে ফোন করে প্রতারণা করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ