Advertisement
Advertisement

Breaking News

Corona Virus

করোনার ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার নামে অভিনব প্রতারণা চক্র, চন্দননগরে ধৃত ২

রেমডেসেভির ইঞ্জেকশান পৌঁছে দেওয়ার নামে জালিয়াতি।

Two arreted for fraud in name of COVID-19 medicine | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:May 5, 2021 9:31 pm
  • Updated:May 5, 2021 9:31 pm  

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: সংকটময় পরিস্থিতিতে রাজ্যে জালিয়াতির ফাঁদ পেতে বসেছে একদল প্রতারক। প্রয়োজনীয় ওষুধ, ইঞ্জেকশন পৌঁছে দেওয়ার নাম করে টাকা হাতাচ্ছে তারা। এমনকী ভিন রাজ্যের বাসিন্দাদের থেকেও টাকা তুলছে। হুগলির চন্দননগরে এমনই এক জালিয়াত চক্রের হদিশ পেল পুলিশ। দুজনকেও গ্রেপ্তারও করেছেন চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ।

Advertisement

কথা ছিল, রেমডেসেভির ইঞ্জেকশান পৌঁছে দেওয়া। সেই মতো মহারাষ্ট্রের এক পরিবারের থেকে টাকাও তুলেছিল তারা। কিন্তু প্রয়োজনমতো ওষুধ, ইঞ্জেকশন পৌঁছে দেওয়া হয়নি। বরং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিল ওই অভিযুক্তরা। 

[আরও পড়ুন : রাজ্যে কতদিন বন্ধ লোকাল ট্রেন? জানিয়ে দিল নবান্ন]

পুলিশ সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা চিকিৎসক বিভা আগরওয়ালের পরিবারের এক করোনা আক্রান্ত সদস্যের রেমডেসেভির ইঞ্জেকশনের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে গত সপ্তাহে জনৈক ভুয়ো ডাক্তার অন্নু মেহেতার সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেন। অন্নু বিভা আগরওয়ালকে আশ্বস্ত করে জানায় ফোন পে-তে অগ্রিম ৬ হাজার টাকা পাঠালে তাঁর বাড়িতে দু’টি রেমডেসেভির ভায়েল পৌঁছে দেওয়া হবে। মহারাষ্ট্রের ওই বাসিন্দা কথামতো ৬ হাজার টাকা পাঠান। এর পরই প্রতারক তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। মহারাষ্ট্রের পরিবারের কাছে কোনও ভায়েলও পৌঁছায়নি। এরপর বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে বিভা আগরওয়াল জানতে পারেন, চন্দননগরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কে তার পাঠানো ওই টাকা জমা পড়েছে। ওই ব্যক্তি চন্দননগর থানায় ফোন করে বিষয়টি জানান।

[আরও পড়ুন : রাজ্যে কতদিন বন্ধ লোকাল ট্রেন? জানিয়ে দিল নবান্ন]

বিভা আগরওয়ালের অভিযোগ পাওয়ার পরই চন্দননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা দপ্তরের পুলিশ তদন্ত শুরু করে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাওড়া থেকে মূল অভিযুক্ত প্রতারক আমন সিং ওরফে ডাঃ অন্নু মেহেতাকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্নুরই আর এক শাগরেদ সুমন নাথকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃত সুমন নাথ চন্দননগরের বাসিন্দা। ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার করার পাশাপাশি প্রতারণার জন্য যে সিম কার্ড ও মোবাইল ব্যবহার করা হয়েছিল তা বাজেয়াপ্ত করেছে। ধৃতদের একজনের চন্দননগরের ওই রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেই অ্যাকাউন্টে ৫৪ হাজার টাকা ছিল। পুলিশের নির্দেশে ওই অ্যাকাউন্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দিয়েছে।

বুধবার ধৃত দুই প্রতারককে চন্দননগর মহকুমা আদালতে তোলা হলে আদালত সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। পুলিশের অনুমান এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে। পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৫ দিন ধরে ধৃতরা এভাবে বিভিন্ন করোনা রোগীর পরিবারের সঙ্গে প্রতারণা চালিয়েছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement