Advertisement
Advertisement
Arambag

বাড়িতে দু’জন HIV আক্রান্ত! আরামবাগে দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়াকে স্কুলে ঢুকতে বাধা

গ্রামবাসী সামাজিক বয়কট করছে বলে দাবি পরিবারের।

Two members of his home infected with HIV, class 2 student can not enter school in Arambag
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:March 29, 2025 4:26 pm
  • Updated:March 29, 2025 4:41 pm  

সুমন করাতি, হুগলি: পরিবারের দুই সদস্য এইচআইভি পজিটিভ। তার জেরে বাড়ির দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়াকে স্কুলে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ স্কুল পরিচালন সমিতি ও প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। সঙ্গে ওই পরিবার ও তাঁদের পরিচিতদের সামাজিকভাবে বয়কট করার অভিযোগ উঠেছে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার দাবি, তিনি পড়ুয়াকে স্কুলে আসতে বারণ করেননি। কিন্তু বাকি পড়ুয়াদের অভিভাবক ও স্কুল পরিচালন সমিতির চাপে পড়ুয়াকে স্কুলে ফেরাতে পারছেন না। বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়েছেন তিনি। গ্রামবাসীদেরও বোঝানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

Advertisement

আরামবাগের গোঘাট থানার বেঙ্গাই পঞ্চায়েতের একটি গ্রামের এক পরিবারের দুই সদস্য এইচআইভি পজিটিভ। সেই খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। ওই পরিবরাও বিষয়টিকে অস্বীকার করেনি। কিন্তু তাতেই বাঁধে বিপত্তি! পরিবারকে সামাজিক বয়কটের পাশাপাশি, বাড়ির খুদে সদস্যের স্কুলে ঢোকা ও পঠন-পাঠন বন্ধ হয়ে যায়। এই ঘটনা নিয়ে স্কুল, স্বাস্থ্যদপ্তর ও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি বলেই দাবি পরিবারের। এমনকী আক্রান্ত পরিবারের পাশাপাশি তাঁর কাকা, ভাই-সহ পাঁচটি পরিবারের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন গ্রামের মানুষ।

পরিবারের এক সদস্য বলেন, “আমাদের পরিবারের দুই সদস্যের চিকিৎসা চলছে। পরিবারের ছোট সন্তানকে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ও পঠন-পাঠন থেকে বঞ্চিত। স্কুল প্রশাসন-সহ স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে কোনও সমাধান হয়নি। এদিকে আমাদের ও আত্মীয়দের গ্রামবাসীরা সামাজিক বয়কট করছে। বিভিন্নভাবে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছি।” তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এই রোগ ছোঁয়াচে নয়, সরকারের তরফে তা বিভিন্ন সময়ে প্রচার করা হয়। তারপরেও এমন কেন? ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে এই অজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

তবে পড়ুয়াকে স্কুলে ঢুকতে না দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষিকা ছন্দনা ভুই। তাঁর দাবি, স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়াদের অভিভাবকরা লিখিত আকারে জানিয়েছেন, ওই পড়ুয়া স্কুলে এলে তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন না। স্কুলের পরিচালন সমিতি ও উচ্চস্তরেও জানানো হয়েছে। তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই মতোই তিনি কাজ করবেন। তাঁর কথায়, “আমি চাই না আমার বিদ্যালয়ের একজন পড়ুয়ার পঠন-পাঠন বা স্কুলের অন্যান্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হোক। আমি ওই পড়ুয়াকে স্কুলে আসতে বারণ করিনি। কিন্তু আমার স্কুলে ১৬৭ পড়ুয়া আছে, তাদের অভিভাবকরা লিখিত আকারে জানিয়েছে ওই শিশুটি স্কুলে এলে তাঁদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাবেন। আমি প্রশাসন ও ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। একটি বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্কুল পরিচালন সমিতি।” পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে, গ্রামের মানুষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement