Advertisement
Advertisement
গণপিটুনি

ছেলেধরা আতঙ্ক, এবার জোড়া গণপিটুনির ঘটনা ঘটল আলিপুরদুয়ারে

কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আক্রান্ত দু"জন।

Two men beaten brutally within few hours in Alipurduar
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:July 22, 2019 11:37 am
  • Updated:July 22, 2019 3:15 pm   

রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার:  মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে এবার জোড়া গণপিটুনির ঘটনা ঘটল আলিপুরদুয়ারে। সোমবার ভোরে ছেলেধরা সন্দেহে শহর লাগোয়া পূর্ব ভোলাডাবরি এলাকায় এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আর রাতে বাদলনগরে আক্রান্ত হন এক ভবঘুরে প্রৌঢ়া। দু’জনকেই উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করেছে পুলিশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘ভালবাসা ফিরিয়ে দাও’, বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনা যুবতীর]

ছেলেধরা সন্দেহে আলিপুরদুয়ারে একের এক গণপিটুনির ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে প্রশাসনের। রীতিমতো মাইকিং করে চলছে প্রচার। কিন্তু পরিস্থিতি আর বদলাচ্ছে কই! জানা গিয়েছে, সোমবার ভোরে আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া পূর্ব ভোলডাবরি এলাকায় এক অচেনা ব্যক্তিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দারা। ছেলেধরা সন্দেহে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে শুরু হয় গণপিটুনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। আক্রান্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ভরতি করা হয় হাসপাতালে। আক্রান্তের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে তিনি বিহারের বাসিন্দা বলে শোনা যাচ্ছে। বিহার থেকে কীভাবে আলিপুরদুয়ারে এলেন ওই ব্যক্তি? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

এদিকে আবার রবিবার রাতে গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের শহরের বাদলনগর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, রাত এগারোটা নাগাদ শৌচাগারে যাওয়ার পথে এক ব্যক্তিকে দেখতে পান স্থানীয় এক গৃহবধূ। তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন আশেপাশে লোকজন। ছেলেধরা সন্দেহে যথারীতি ওই ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন তাঁরা। শেষপর্যন্ত পুলিশ গিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। তাঁকে ভরতি করা হয়েছে হাসপাতালে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির নাম শশী সরকার। আলিপুরদুয়ারেরই কুমারগ্রামের বাসিন্দা তিনি। তবে বাড়িতে থাকেন না ওই প্রৌঢ়া। আলিপুরদুয়ার শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান।

জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরেই ছেলেধরার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে আলিপুরদুয়ারে। স্রেফ সন্দেহের বশে গণপিটুনির ঘটনাও ঘটছে। গত মঙ্গলবারই গণপিটুনির ঘটনায় রীতিমতো রণক্ষেত্রে চেহারা নিয়েছিল আলিপুরদুয়ার শহর। আক্রান্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে গিয়ে জনরোষের মুখে পড়তে হয় পুলিশ আধিকারিকদের। ভাঙচুর চলে পুলিশের গাড়িতেও। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, এলাকায় ব়্যাফ নামাতে হয়।

[আরও পড়ুন: নিয়ম মেনে অন্ত্যেষ্টি ঝাড়গ্রামের তিন হাতির, মুণ্ডিত মস্তকে কাজ সারলেন ৩ গ্রামবাসী]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ