ফাইল ছবি
শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: হাতির হামলায় মর্মান্তিক মৃত্যু দু’জনের। বানারহাটে বৃহস্পতিবার রাত এবং ভোরের দিকে পৃথক দু’টি ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু হয় ওই দু’জনের। যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়। ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কে সাধারণ মানুষ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বানারহাট থানার পুলিশ এবং বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের বনকর্মী এবং আধিকারিকরা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের তরফে এলাকার বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। তবে মর্মান্তিক এই ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
জানা যায় প্রথম ঘটনাটি বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে বারোটার সময় ঘটে। বানারহাট ব্লকের দুরামারীর চানাডিপা গ্রামে অতর্কিতে হওয়া হাতির আক্রমণে প্রাণ হারান বছর ৫০-এর সোমরা ওরাঁও। তাঁর বাড়ি পূর্বদূরামারী চানাডিপা গ্রামে। সোমরা ওরাঁওয়ের একেবারে বাড়ির কাছেই মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, আচমকাই একটি বুনো হাতি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে এবং আক্রমণ চালায়। অপর ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ভোর প্রায় সাড়ে চারটা নাগাদ।
জানা যায়, বানারহাট ব্লকের তোতাপাড়া চা বাগানের সিশোখলা সংলগ্ন ঝোপের মধ্যে এদিন ভোরে এক ব্যক্তির মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। যা নিয়ে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। জানা যায়, মৃতের নাম গুরুয়া ওরাঁও (৬০)। চা বাগানের বাস লাইনের বাসিন্দা। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান, হাতির হামলাতেই বছর ৬০-এর গুরুয়া ওরাঁওয়ের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের দাবি, ভোরবেলায় খাবারের সন্ধানে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসা হাতির আক্রমণেই এই ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন ধরেই হাতির একটি দল বানারহাট ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম ও চা–বাগান এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। কখনও চা বাগানে আবার কখনও রাস্তার পাশে হাতির দলকে দেখা গিয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, খাবারের সন্ধানে হাতির দল প্রায়ই লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। অথচ এই বিষয়ে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকার মানুষের। ফলে রীতিমতো আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে ডুয়ার্সের বাসিন্দাদের। আর এরমধ্যে হাতির হামলায় একই দিনে একের পর এক মৃত্যু আরও দুশ্চিন্তায় ফেলেছে এলাকার মানুষজনকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.