রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: আচমকা ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা বৃষ্টির জলে উত্তরবঙ্গে হড়পা বানের সপ্তাহ দুই কেটে গেলেও সেখানে ফেরেনি স্বাভাবিক ছন্দ। এখনও প্রচুর রাস্তা, সেতুর পুনর্গঠন হয়নি। রাজ্য সরকারের তরফে সেই কাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। এদিকে ফুঁসে ওঠা নদীর জলে ভেসে উত্তরবঙ্গের একাধিক জঙ্গল ক্ষতিগ্রস্ত। সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থা হয়েছে আলিপুরদুয়ারের জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের। সেখানকার বেশ কিছু বন্যপ্রাণ জলের তোড়ে ভেসে চলে গিয়েছিল বহু দূরে। তেমনই দুটি গণ্ডার ২ সপ্তাহ পর ফিরে এল স্বস্থানে। মঙ্গলবার সকালে তাদের জঙ্গলে ফেরার খবর জানালেন জলদাপাড়ার ডিএফও। এনিয়ে বন্যা পরবর্তী সময়ে পুনরুদ্ধার হওয়া গণ্ডারের সংখ্যা ৮।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৫ অক্টোবর উত্তরবঙ্গের প্লাবন পরিস্থিতিতে প্রায় সমস্ত নদীই ফুলেফেঁপে উঠেছিল। সেসময় তোর্সা নদীর জলের স্রোতে ভেসে যায় জলদাপাড়ার বেশ কিছু গণ্ডার। সেই করুণ পরিস্থিতির একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। তাদের বাঁচা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। তেমনই ভেসে যাওয়া জলদাপাড়ার দুটি গণ্ডার গিয়ে উঠেছিল কোচবিহারে। বিপর্যয় সামলে সেখানকার পাতলাখাওয়া জঙ্গল এলাকায় আশ্রয় নিয়েছিল গণ্ডার দুটি। এর আশপাশে লোকালয়। তাই তাদের অবস্থান নিয়ে চিন্তায় ছিলেন বনকর্তারা। যদি কোনওভাবে জঙ্গল থেকে লোকালয়ে ঢুকে আসে।
তবে শেষপর্যন্ত পাতলাখাওয়া জঙ্গলেই ওই দুই গণ্ডারের হদিশ পাওয়া যায়। ঘুমপাড়ানি গুলির সাহায্যে তাদের কাবু করেন বনকর্মীরা। তারপর ফের জলদাপাড়ায় নিয়ে এসে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। জলদাপাড়ার ডিএফও পরভীন কাসোয়ান বলেন, “গণ্ডার দুটি সুস্থ রয়েছে। এবং সুস্থতা নিশ্চিত করার পরই তাদের জঙ্গলে ছাড়া হয়েছে।” বনদপ্তর সূত্রের খবর, এই দুটি গণ্ডারকে নিয়ে সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতির পর আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার মিলিয়ে তোর্সার জলে ভেসে যাওয়া আটটি গণ্ডারকে উদ্ধার করা হল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.