ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ হচ্ছে। কিন্তু, বেশিরভাগ জায়গাতে সেই বিক্ষোভ রূপ নিচ্ছে তাণ্ডবের। গত কয়েকদিন এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায়।বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডবে সরকারি সম্পত্তিরও প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। প্রথম থেকেই নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি(NRC) র বিরোধিতায় হিংসার পথ ত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে আন্দোলন করার নিদান দিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও গন্ডগোল খুব একটা কমেনি। এমনকী শুক্রবার জুম্মার নমাজের পর নতুন করে অশান্তি ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছে রাজ্য প্রশাসন। তাই প্রতিটি জেলাকে সর্তক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। বৃহস্পতিবার জেলাশাসকদের ফোন করেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা।
গত ৯ ডিসেম্বর লোকসভায় পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। বুধবার তাতে অনুমোদন দেয় রাজ্যসভা। আর বৃহস্পতিবার রাতে বিলটিতে সই করে তাকে আইনে পরিণত করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ঠিক আর পরেরদিনই জুম্মার নমাজের পর উত্তেজনা ছড়ায় হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া স্টেশনে। রেল অবরোধ করার পাশাপাশি ট্রেনের কামরা ও ইঞ্জিন ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা। তাদের তাণ্ডবের জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের ট্রেন চলাচল।
আস্তে আস্তে উলুবেড়িয়ার উত্তেজনা সংক্রমিত হয় মুর্শিদাবাদ জেলাতেও। বেলডাঙা স্টেশনে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সমস্ত জিনিসপত্র ভেঙে ফেলে বিক্ষোভকারীরা। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় রেলের একাধিক স্টেশন ও প্যানেল কন্ট্রোল রুম। এর ফলে গত এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৬টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত রাখা হয়।
ফের যাতে সেই ধরনের কোনও পরিস্থিতি না তৈরি হয় তার দিকে সতর্ক নজর রেখেছে নবান্ন। আর তাই জেলাশাসকদের ফোন করে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। সেই অনুযায়ী প্রতিটি জেলায় কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন প্রশাসনিক আধিকারিক ও পুলিশকর্মীরা। কোথাও কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটলে তা কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.