Advertisement
Advertisement
Visva Bharati

চিনের সঙ্গে ফের শিক্ষা-সংস্কৃতি আদানপ্রদানের মউ স্বাক্ষর, বড় সিদ্ধান্ত বিশ্বভারতীর

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন যাত্রার শতবর্ষ উপলক্ষে বড় ঘোষণা।

Visva Bharati University to sign MoU with chinese authorities regarding exchange of Ideas
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:April 2, 2025 12:00 am
  • Updated:April 2, 2025 12:13 am   

দেব গোস্বামী, বোলপুর: চিনের সঙ্গে ফের শিক্ষা-সংস্কৃতি আদানপ্রদানের মউ স্বাক্ষর করতে চলেছে বিশ্বভারতী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন যাত্রার শতবর্ষ উপলক্ষে দুদিনের আন্তর্জাতিক বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে। মঙ্গলবার, আলোচনা সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য প্রবীর কুমার ঘোষ, কলকাতার চিনের কনস্যুলেট জেলারেল স্কুবে, ভাষা ভবনের অধ্যক্ষ মৃণালকান্তি মণ্ডল, চিনা ভাষা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মনোরঞ্জন মোহান্তি-সহ অন্যান্যরা।

Advertisement

এছাড়াও চিনের ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়, পেইকিং বিশ্ববিদ্যালয়, চিংকাংশন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১২ জন প্রতিনিধি ও ভারতের বিশ্বভারতী-সহ দিল্লি জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১২ জন প্রতিনিধি-সহ বিশ্বভারতীর বিভিন্ন ভবনের পড়ুয়া-অধ্যাপকেরা অংশ নেন। প্রসঙ্গত, ১৯১৩ সালে নোবেল পদক পাওয়ার পর আমন্ত্রণ পেয়ে প্রায় ৩০টি দেশ ভ্রমণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তার মধ্যে অন্যতম চিন। ১৯২৪ সালে প্রথম চিন ভ্রমণে যান কবিগুরু। পরবর্তীতে ১৯৩৭ সালে শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ও তান ইউন শান প্রতিষ্ঠা করেন চিনা ভবন। দীর্ঘদিন ধরে চিনা ভাষা, সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম প্রতিষ্ঠান এটি। যা চিন ও ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান ও পারস্পরিক শিক্ষার প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।

২০২৫ সালে ভারত-চীন কূটনীতিক সম্পর্কে ৭৫ বছর পূর্ণ হবে। সেটিও এদিনের অনুষ্ঠানের তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় ছিল। প্রত্যেকের বক্তব্য থেকেই উঠে আসে রবীন্দ্রনাথের হাত ধরেই ভারত-চীন সম্পর্কে সেতু বন্ধন প্রসঙ্গ। উপাচার্য প্রবীর কুমার ঘোষ বলেন, “রবীন্দ্রনাথের চিন যাত্রার পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও নিবিড় হয়েছে। শিক্ষা-সংস্কৃতির বিনিময় অনেক বেড়েছে। ফলে সব মিলিয়ে এই আন্তর্জাতিক আলোচনা সভা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।” চিনের কনস্যুলেট জেলারেল স্কুবে বলেন, “ভারত-চিনের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় একটি ঐতিহ্য। বিশ্বভারতীর চিনা ভবন পারস্পরিক শিক্ষার প্রচারেও বড় ভূমিকা পালন করছে। শান্তিনিকেতন এমন একটি স্থান যা শিল্প ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের আদর্শের সাথে মিলেমিশে যায়। আমার সফর তীর্থযাত্রীর মত।” বিশ্বভারতীর চিনা ভবনের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন যাত্রার শতবর্ষ উপলক্ষে আমরা একাধিক অনুষ্ঠান, চিত্র প্রদর্শনী করেছি৷ এটি সমাপ্তি অনুষ্ঠান। ২০২৫-এ ভারত-চিন কূটনীতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর, সেটাও এই অনুষ্ঠানে তাৎপর্যপূর্ণ। করোনার আগে চিনের সঙ্গে বিশ্বভারতীর ৩টি মউ সাক্ষর হয়েছিল। শিক্ষা, সংস্কৃতি, বইয়ের আদান-প্রদান, যৌথ আলোচনা প্রভৃতি প্রস্তুত হত। নতুন করে মউ সাক্ষরের প্রস্তুতি শুরু করেছে বিশ্বভারতী।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ