বাবুল হক, মালদহ: ভোটের আগে মালদহের (Maldah) বিজেপি প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় নয়া মোড়। গ্রেপ্তার বিজেপির মণ্ডল সভাপতি তথা দলীয় এক নেতা। পুলিশের দাবি, মালদহের প্রার্থী গোপালচন্দ্র সাহার উপর হামলার ‘সুপারি’ দিয়েছিলেন ধৃত নিতাই মণ্ডল। ভোটে টিকিট না পাওয়ার জেরেই এই হামলা বলে অনুমান পুলিশের।
১৮ এপ্রিল মালদহের বিজেপি (BJP) প্রার্থী গোপালচন্দ্র সাহাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গলা ছুঁয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল গুলি। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগ আঙুল তুলেছিল গেরুয়া শিবির। দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারির দাবি জানিয়ে প্রশাসনের উপর চাপ তৈরি করেছিল বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। কিন্তু তদন্ত শুরু হতেই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ল।
গুলি চালানোর পাঁচ দিনের মাথায় ৬ বিজেপি কর্মী-সমর্থকই গ্রেপ্তার হয়। তাদের জেরা করে এই সুপারি কিলারের হদিশ পায় পুলিশ। উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্রও। জেরার তথ্যের উপর ভিত্তি করে ঘটনার সাতদিনের মাথায় শুটার সাহেব ঘোষ। তার বাড়ি কালিয়াচকের শাহবাজপুরে। এখান থেকে তাকে ভাড়া করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সাহেবের কাছ থেকে নগদ তিন লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। তাকে জেরা করতেই উঠে আসে নিতাই মণ্ডলের নাম। ধৃত পুরাতন মালদহের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা বিরোধী দলনেতা। মণ্ডল সভাপতিও ছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, নিতাই সরাসরি সুপারি কিলারকে টাকা দেয়নি। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মাধ্যমে টাকা দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু দলীয় প্রার্থীকে কেন খুনের চেষ্টা করছিলেন নিতাই? সূ্ত্রের খবর, মালদহ থেকে প্রার্থী পদের দাবিদার ছিলেন নিতাই। কিন্তু দল গোপালচন্দ্র সাহাকে প্রার্থী করে। এর পর নির্দল হয়ে নির্বাচনে লড়াই করার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। মনোনয়ন দিতেও গিয়েছিলেন কিন্তু বিজেপি জেলা সভাপতির অনুরোধে মনোনয়ন জমা করেননি। টিকিট না পাওয়ার ক্ষোভেই প্রার্থীর উপর হামলা করিয়েছিল বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.