বিক্রম রায়, কোচবিহার: দার্জিলিংয়ের রাজভবন থেকেই আপাতত নিজের দায়িত্ব পালন করছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। বৃহস্পতিবার কোচবিহারে যান তিনি। তবে সেখানে গিয়ে উপযুক্ত মর্যাদা পাননি বলেই অভিযোগ। পুলিশের তরফে তাঁকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়নি বলেই জানিয়েছেন তিনি। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরও একবার প্রকাশ্যে এল মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল দ্বৈরথ।
কোচবিহার সফরে যে যাচ্ছেন তা আগেই টুইটে জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার প্রথমে পঞ্চানন বর্মার মূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী। এছাড়াও বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকও ছিলেন রাজ্যপালের সঙ্গে। তারপর সেখান থেকে মদনমোহন মন্দিরে যান। পুজো দেন। কোচবিহার রাজবাড়িও ঘুরে দেখার পর সার্কিট হাউসে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। তবে কর্মসূচির মাঝে নিয়মানুযায়ী গার্ড অব অনার (Guard Of Honour) দেওয়া হয়নি তাঁকে। তা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে এ প্রসঙ্গে একটি টুইটও করেন তিনি। রাজ্য পুলিশ রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রণাধীন বলেও অভিযোগ করেন রাজ্যপাল।
The district administration at Coochbehar was in breach of protocol. There was no guard of honour and DM and SP were absent. All indications of politicised working visible.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1)
এরপর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জগদীপ ধনকড়। সেখানেও রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। গত ৯ নভেম্বর রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গের মোট পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা টুইট করেছিলেন। তবে সেই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন সকলেই। উপাচার্যদের আচরণের তীব্র বিরোধিতা করেন রাজ্যপাল। এ প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন বলেও জানান তিনি। ওই উপাচার্যদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও উল্লেখ করেছেন ধনকড়। কোচবিহারকে পর্যটন মানচিত্রে কীভাবে আরও সামনের সারিতে আনা যায়, সে বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাসও দেন বাংলার রাজ্যপাল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.