Advertisement
Advertisement
Kidney

কিডনি পাচারচক্রে এবার আফ্রিকা-যোগ! ‘মেঘনাদ’ লিংকম্যান কারা? খোঁজে পুলিশ

জেলাস্তরে 'নট রেকমেন্ড' কীভাবে অদৃশ্য অঙ্গুলি হেলনে 'রেকমেন্ড' হয়ে যেত? গোটা অপারেশন বুঝতে চলছে তদন্ত।

Who are the linkmen in kidney smuggling case busted in Ashoknagar, police find Africa links

অশোকনগরে কিডনি পাচারচক্রে গ্রেপ্তার সুদখোর। ফাইল ছবি। 

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 30, 2025 7:27 pm
  • Updated:March 30, 2025 7:36 pm  

অর্ণব দাস, বারাসত: আন্তর্জাতিক কালো বাজারে বহুমূল্য কিডনি। সেই তুলনায় কলকাতা ও লাগোয়া অঞ্চলে তা সহজলভ্য। দামও কম। আইনের ফাঁক গলে তা পাওয়াও যায় সহজে। তাই অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া দেশ, মূলত আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে গ্রহীতারা যোগাযোগ করত এ রাজ্যের দালালদের সঙ্গেই। অশোকনগর থেকে চড়া সুদের আড়ালে কিডনি পাচার চক্রের পর্দা ফাঁসের পর তদন্তে ঘানা, কঙ্গো, কম্বোডিয়া-সহ প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটানের অনেক গ্রহীতার নাম জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এছাড়াও পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা-সহ একাধিক রাজ্যে এই পাচার চক্রের কথা। এসব রাজ্যেও বহু কিডনি গ্রহীতা রয়েছে।

Advertisement

তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, প্রতিটি জেলায় কিডনি পাচারের আলাদা আলাদা টিম থাকলেও তাঁরা দক্ষিণ কলকাতার নামজাদা ওই বেসরকারি হাসপাতালের সূত্রে একসুতোয় বাঁধা ছিল। কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রায় সবকটি অপারেশন সেই হাসপাতালেই হয়েছে। রাজ্যের কারও কিডনি প্রয়োজন হলে জেলার টিম সরাসরি অথবা কলকাতার কয়েকটি নামী নেফ্রোলজি সেন্টারের দালালের মাধ্যমে খদ্দের পেয়ে যেত। কিন্তু ভিনরাজ্য-সহ বিদেশি ক্লায়েন্টদের সঙ্গে এই পাচারের টিমের ‘লিংকম্যান’ কে? ধৃতদের থেকেও তার সঠিক উত্তর মেলেনি। জেলাস্তরে ‘নট রেকমেন্ড’ যেভাবে অদৃশ্য অঙ্গুলি হেলনে ‘রেকমেন্ড’ হয়ে যেত, ঠিক তেমনভাবেই এই লিংকম্যান মেঘের আড়ালে থেকে সবটা করিয়ে দিত বলেই অনুমান পুলিশের। তাই পুলিশের একটি বিশেষ টিম এখন ভিনরাজ্যের কিডনি গ্রহীতাদের স্ক্যানারে রেখে লিংকম্যানদের খোঁজ পেতে চাইছে।

তদন্তে অশোকনগর এলাকার ৫, ৬ জন বাসিন্দা পুলিশের কাছে সরাসরি স্বীকার করেছেন যে সুদের চাপে কিডনি বিক্রি করেছেন তাঁরা। পুলিশ আরো জানতে পেরেছে, অশোকনগর থানা এলাকায় বিগত ৫-৭ বছরে কমবেশি ২৫জন কিডনি বিক্রি করেছে! তাঁদের শনাক্ত করে আরও সুদখোরদের নাম জানতে মরিয়া তদন্তকারীরা। বারাসত জেলা পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া জানিয়েছেন, ধৃতদের বয়ান যাচাই করা হচ্ছে। চক্রের আরও কয়েকজনের নাম পাওয়া গিয়েছে। তাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখতেও তদন্ত চলছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement