Advertisement
Advertisement
CM Mamata Banerjee

কার্নিভাল নিয়ে রাজনীতি! কেন বাতিল হল না অনুষ্ঠান, বিরোধীদের জবাব মুখ্যমন্ত্রীর

মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Why wasn't the carnival canceled, CM Mamata Banerjee say reasone
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:October 7, 2025 4:47 pm
  • Updated:October 7, 2025 6:21 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ! ভেসে গিয়েছে একাধিক এলাকা। আতঙ্কিত স্থানীয়রা। সুষ্ঠু ভাবে উদ্ধারকার্য এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে প্রশাসন। এই আবহে কেন দুর্গা কার্নিভাল বাতিল করা হয়নি। তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিল বিরোধীরা। এবার তাদের ‘রাজনীতি’র জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, রাজনীতি করেছে বিরোধীরা। কার্নিভাল বাংলার গর্ব। উপস্থিত ছিলেন বিদেশিরা। শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করা সম্ভব নয়। তাছাড়া তিনি গেলে উদ্ধারকার্যে প্রভাব পড়ত। পুলিশ ব্যস্ত হয়ে পড়ত তাঁকে নিয়ে। যা মোটেও কাম্য নয়। কারণ দুর্যোগের সময় প্রধান কাজ দুর্গতের পাশে দাঁড়ানো।

Advertisement

গত রবিবার রেড রোডে ছিল দুর্গাপুজোর কার্নিভাল। শনিবার রাতভর প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে উত্তরবঙ্গ। রবিবার সকাল থেকে একের পর এক খারাপ খবর আসতে শুরু করে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন সোমবার তিনি উত্তরবঙ্গে যাবেন। তারপরই বিরোধীরা প্রশ্ন করতে থাকেন, কেন বাতিল করা হল না পুজোর কার্নিভাল?

দু’দিন উত্তরবঙ্গে দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়ে, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সেই ‘রাজনীতির’ জবাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কার্নিভাল নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। কার্নিভাল বাংলার গর্ব। এতগুলো ক্লাব আশা করেছিল ওদের কোনও মূল্য নেই? ওই দিন সমস্ত অ্যারেজমেন্ট করা হয়ে গিয়েছিল। ইউনিসেফ থেকে অনেক বিদেশিরা ছিলেন। বাতিল করা সম্ভব?” তিনি আরও বলেন, “সেদিন যদি আমরা আসতাম এসে কী করতাম? ভিআইপিকে দেখতে গিয়ে উদ্ধারকার্য ব্যাহত হত না? পুলিশ কাকে সামলাত? ওই সময় প্রধান কাজ কোনটা?”

পাশাপাশি বিজেপিকে নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহাকুম্ভের দুর্ঘটনাকে ও বিজেপিশাসিত রাজ্যের বিভিন্ন দুর্যোগে কেন্দ্র এক কথা বলছে ও পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এক কথা। পালটা প্রশ্ন করেন, “মহাকুম্ভের দুর্ঘটনা কি ডিজাস্টার ঘোষণা করা হয়েছে? আমি কোনও দিন দুর্যোগ নিয়ে রাজনীতি করি না।” বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর উপর আক্রমণ নিয়েও মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি জানিয়েছেন, “দাঙ্গা-বন্যার পর মানুষ অসহায় মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। আমিও অনেক খারাপ পরিস্থিতির মুখে পড়েছি। দাঙ্গার সময় হিন্দু এলাকায় গিয়ে দেখিছি ওরা তাড়া করছে। মুসলিম এলাকায় আরও তাড়া করছে। কী করা যাবে।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ