রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: নোড়া দিয়ে থেঁতলে নিজের সন্তানকে খুনের অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে! আরও এক সন্তানকে গুরুতর আঘাত করেছেন বলেও দাবি। বুধবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটেছে করিমপুর থানার আনন্দপল্লিতে। অভিযুক্তকে আটক করেছে করিমপুর থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন। ছেলেরা স্নান করতে না চাওয়ায় এই ঘটনা ঘটায় বলে নিজেই দাবি করেছে সে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই ছেলে ও স্ত্রী রিঙ্কি মজুমদারকে নিয়ে ওই এলাকায় ভাড়া থাকতেন সূর্যদেব মজুমদার। বড় ছেলে বারো বছরের রুদ্রদেব এবং ছোট ছেলে আট বছর বয়সি অর্ঘ্যদেব মজুমদার। গতকাল বিকেলে সূর্য মজুমদার বাড়ি ফিরে দেখেন দুই সন্তান রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে। তাঁর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। সেই সময় রিংকি পালিয়ে যায়। দুই সন্তানকে উদ্ধার করে করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। যাওয়ার পথে ছোট ছেলে অর্ঘ্যর মৃত্যু হয়। বড় ছেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়দের দাবি, রিঙ্কি মজুমদার শিলনোড়া দিয়ে থেঁতলে খুন করেছে। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক ছিল। সকালে বাড়ি ফিরতেই স্থানীয় বাসিন্দারা ঘিরে ধরে পুলিশকে খবর দেয়। তারা এসে অভিযুক্তকে আটক করে নিয়ে যায়। স্থানীয়দের প্রশ্নের মুখে পড়ে অসংলগ্ন উত্তরে সে জানায়, “ছেলেরা স্নান করতে চাইত না একদম… আমি তো ওদের ভালোবাসি।”
প্রতিবেশী মিঠু পাল জানান, “বুধবার বিকেলে সূর্যবাবু বাড়িফিরে চিৎকার করে বলতে থাকেন ছেলে মারা গেল, আমার ছেলেদের বাঁচান। চিৎকার শুনে বাড়িতে গিয়ে দেখি তার দুই ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে, পাশে পড়ে আছে শিলনোড়া। আমরা বাড়িতে যেতেই সূর্যবাবুর স্ত্রী ছুটে ঘর থেকে পালিয়ে যায়। আমরা পাড়া-প্রতিবেশীরা, বাচ্চা দুটোকে করিমপুর হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি।” সূর্য মজুমদার বলেন, “স্ত্রীর সঙ্গে কোনও বিরোধ বা সমস্যা হয়নি, বুঝতে পারছি না, কেন এমন ঘটনা ঘটালেন।” পুলিশ জানায়, রিঙ্কিদেবীকে আটক করা হয়েছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে পরিবারের দাবি, রিঙ্কি মানসিক ভারসাম্যহীন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.