নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বাড়ির সামনে দাঁড় করিয়ে ছবি উঠল ছোট বউমার। আর টাকা পেলেন ভাশুর। এ নিয়ে বিডিও অফিসের দ্বারস্থ হয়েছেন ছোট বউমা নাসিমা খাতুন। তিনি ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত প্রাপককে আবাস যোজনার টাকা দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
[নারী দিবসে তৃণমূল কাউন্সিলরের হাতে আক্রান্ত মহিলা কনস্টেবল]
ঘটনাটি ঘটেছে, মুরারই গ্রাম পঞ্চায়েতের ধিতোরা গ্রামে। ওই গ্রামের বাসিন্দা হাফিজুল শেখের নামে বাংলা আবাস যোজনায় গৃহ বরাদ্দ হয়। বছরখানেক আগে পঞ্চায়েতের সদস্যার স্বামী এবং পঞ্চায়েতের কর্মীরা ওই বাড়িতে গিয়ে ছোট বউমা নাসিমা খাতুনকে ভাঙা বাড়ির সামনে দাঁড় করিয়ে ছবি তুলে নিয়ে যায়। নাসিমার অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা মবিনা খাতুনের স্বামী ওলিউল ইসলাম ওরফে রবু এবং পঞ্চায়েতের কর্মীরা তার ছবি তুলে নিয়ে যায়। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যায়। কিন্তু বছর ঘুরতে লাগলেও টাকা না মেলায় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর কাছে জানতে চাইলে প্রথমে কিছু বলতে চায়নি। পরে জানিয়ে দেন ওই টাকা হাফিজুল শেখের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। দু’জনে ভাগাভাগি করার পরামর্শ দেন।
নাসিমা বলেন, “ওই টাকা আমি ভাগাভাগি করলে নিজে কোনও বাড়ি পাব না। তাই আমি ভাগাভাগির পথে না হেঁটে বিডিও অফিসে অভিযোগ করেছি”। রবু বলেন, “বাড়ি বরাদ্দ হয়েছিল হাফিজুলের নামে। তখন তাঁরা একসঙ্গে থাকতেন। যে দিন ছবি তুলতে যাই সেদিন বাড়িতে হাফিজুল বা তাঁর স্ত্রী ছিল না। তাই ছোট বউমা নাসিমা খাতুনের ছবি তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এটাই আমাদের পদ্ধতিগত ভুল হয়েছে।” তবে টাকা ভাগাভাগি করে নেওয়ার অভিযোগ তিনি এড়িয়ে যান। মুরারই ১ নম্বর ব্লকের বিডিও নীতিশ ভাস্কর পাল বলেন, “বাড়ি নির্মাণের তিন কিস্তির টাকা সঠিক প্রাপকই পেয়েছেন। শুধু আমাদের ভুল ছবি প্রাপকের বউমার তোলা হয়েছে।”
[প্রিয়জনেরাই বিক্রি করেছিল যৌনপল্লিতে, মূল স্রোতে ফিরতে প্রশংসনীয় লড়াই দুই তরুণীর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.