অর্ণব দাস ও অরিজিৎ গুপ্ত: ননদের সঙ্গে স্বামীর সম্পর্ক! প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ স্বামী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। মেয়েকে মারধরের প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁর বাবাকেও ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। থানায় অভিযোগের পর চম্পট দিয়েছেন অভিযুক্ত। তদন্ত নেমেছে পুলিশ।
২০২৩ সালে দক্ষিণেশ্বরের রিয়ার সঙ্গে দেখাশোনা করেই বিয়ে হয় উত্তর হাওড়ার সালকিয়ার বাসিন্দা শুভজিৎ হাজরার। তাঁদের ১৪ মাসের সন্তানও রয়েছে। প্রায়সই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নানান কারণে অশান্তি লেগেই থাকতো। সম্প্রতি সেই অশান্তি আরও বেড়ে যায়। রিয়া জানতে পারেন, তাঁর ননদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে স্বামীর। ঘটনার প্রতিবাদ করায় অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। হাওড়ার শ্বশুর বাড়িতেই ঘরের মধ্যে মাটিতে ফেলে একাধিকবার নৃশংসভাবে মারধর করে হয় বলেও অভিযোগ রিয়ার। আরও অভিযোগ, সব জেনেও শ্বশুর বাড়ির লোকজন কিছুই বলতেন না। বাড়ির সিসি ক্যামেরায় সেই ফুটেজ রয়েছে বলেই দাবি তাঁর।
অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকায় ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসেন রিয়া। সেখানেও পিছু ছাড়নেনি শুভজিৎ। বিয়ার বাবা জয়ন্ত দাসকেও মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এরপরই মালিপাঁচঘড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিলা। এই প্রসঙ্গে বাপের বাড়িতে বসেই রিয়া হাজরা বলেন, “বিয়ের পর থেকে আমাকে নানান বিষয়ে খোঁটা দেওয়া হত। খুব একটা বাইরে বেরতে পারতাম না। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকে আমি বুঝতে পারি, ননদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন স্বামী। রাতে আমার সঙ্গে ঘরে থাকলেও ঘুমিয়ে পড়ার পর শুভজিৎ ননদের ঘরে চলে যেত। স্ত্রী হিসেবে এটা মানতে পারিনি। প্রথমে বুঝিয়েছিলাম। কিন্তু কাজ হয়নি। প্রতিবাদ করায় আমাকে মারধর করেছে শুভজিৎ। বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। তাই দেড় বছরের বাচ্চা নিয়ে খুব আতঙ্কে আছি। আমি ওর কঠোর শাস্তির দাবি করছি।”
এই প্রসঙ্গে রিয়ার বাবা জয়ন্ত দাস বলেন, “দিদির সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে জামাইয়ের। মেয়ে প্রতিবাদ করায় তাঁকে মারধর করেছে। আমার বরাহনগর বাড়িতে এসেও জামাই আমাকেও মারধর করেছে।” বধূ নির্যাতনের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.