অর্ণব দাস, বারাকপুর: পানিহাটির ফ্ল্য়াটে বাংলাদেশিদের আনাগোনার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। অদিতি পাত্র নামে যিনি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন, তিনিও নাকি বাংলাদেশি। চোরাইপথে প্রবেশ করেছিলেন ভারতে। তারপর রাতারাতি তৈরি করে ফেলেন এদেশের পরিচয়পত্র। সেগুলোকে ব্যবহার করেই বেআইনি পথে অন্য বাংলাদেশিদের ভারতে আনার কাজ চলত বলেই খবর। মহিলার ফ্ল্য়াট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভুয়ো আধার ও ভোটার কার্ড।
পানিহাটির ফ্ল্য়াটে বাংলাদেশিদের আনাগোনাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে এসেছিল অদিতি পাত্রর নাম। মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপরই প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, ধৃত অদিতি পাত্রের আসল নাম প্রিয়া খাতুন। বাংলাদেশের সাতক্ষীরার বাসিন্দা তিনি। সোশাল মিডিয়ায় পরিচয় হয় কেষ্টপুরের এক যুবকের সঙ্গে। ধৃতের দাবি অনুযায়ী, তারপর ২০১৯ সালে বেআইনিভাবে সড়কপথে ভারতে প্রবেশ করেন অদিতি। বাংলায় প্রবেশের পর ওই যুবককে বিয়ে করেন অদিতি ওরফে প্রিয়া। এরপর কেষ্টপুরে থাকতে শুরু করেন যুগল। তারপর মাস দুয়েক আগে পানিহাটিতে বাড়ি ভাড়া নেন। প্রিয়ার সূত্র ধরে আরও এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত মাস দুয়েক আগে। অদিতি সোদপুরের পানিহাটির ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। অভিযোগ, তারপর থেকেই নাকি ওই ফ্ল্যাটে বহু মানুষের আনাগোনা শুরু হয়। প্রথমে কিছু মনে না হলেও একপর্যায়ে সন্দেহ হয় ফ্ল্যাট মালিকের। অন্য়ান্য বাসিন্দাদের মনেও হাজার প্রশ্ন জাগে। তাঁরা অদিতির কাছে জানতে চান, যারা আসে তাদের পরিচয় কী? কিন্তু অদিতি সঠিক উত্তর দিতে পারেননি বলেই খবর। উলটে ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের কটাক্ষ করেন তিনি। এর পরই সন্দেহ আরও গাঢ় হয়। কুলকিনারা না পেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্ত হন ফ্লাটের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার রাতে ২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.