সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের দুর্যোগে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নষ্ট হয়েছে ফসল। বিপদে পড়া চাষিদের পাশে রাজ্য সরকার। বাড়ি, বাড়ি গিয়ে বা ত্রাণ শিবিরে থাকা চাষিদের কাছে গিয়ে বিমার ফর্ম ফিলাপের কাজ শুরু হয়েছে বলে দার্জিলিংয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়। পাশাপাশি, তিনি জানিয়েছেন, ডিএম, বিডিওরা সার্ভে রিপোর্ট পাঠাবে, এগ্রিকালচার বিভাগ নিজেরাও খতিয়ে দেখবে। দ্রুত সেই টাকা পাবেন চাষিরা।
বিজয় দশমীর পর প্রকৃতির তাণ্ডবে তছনছ হয়ে যায় পাহাড়ের একাধিক জায়গা। ভুটান থেকে জল এসে ভাসিয়ে নেয় একাধিক এলাকা। নামে ভূমিধস। বাড়ি, ঘর রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশপাশি ভেসে গিয়েছে বিস্তর চাষের জমি। আলিপুরদুয়ার, নাগরাকাটা, মিরিক, দার্জিলিংয়ের বহু জমি জলের তলায় চলে যায়। সেই সমস্ত এলাকার চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কাজও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি বলেন, “জমির পর জমি নষ্ট হয়েছে। চাষিদের শস্যবিমার টাকা আমরা দিই। চাষিদের কোনও টাকা লাগে। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা নাম লেখালেই সেই টাকা তাঁরা পেয়ে যাবেন। চিন্তার কোনও বিষয় নেই।” তিনি আরও জানিয়েছেন, “ইতিমধ্যেই ফিল্ডের কাজ শুরু হয়েছে। বাড়ি, বাড়ি গিয়ে ফর্ম ফিলাপের কাজ শুরু হয়েছে। যারা ত্রাণ শিবিরে আছেন, সেখানে গিয়েছে কাজ চলছে। ডিএমরা সার্ভে রিপোর্ট পাঠাবে। কৃষিবিভাগ থেকেও ওরা কাজ করবে। চিন্তার বিষয় নেই।”
এর আগেই উত্তরবঙ্গের বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কোনও কৃষকের নাম যেন বাংলা শস্যবিমার আওতা থেকে বাদ না যায়, তা নিশ্চিত করতে আধিকরিকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। প্রয়োজনে বিপর্যস্ত এলাকার চাষিদের কাছে গিয়ে তাঁদের নাম তোলার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.