Advertisement
Advertisement
Maldah

রাজস্থানে গ্রেপ্তার বাংলার শ্রমিক, বসিরহাট সীমান্তে পে লোডারে তুলে বাংলাদেশে ছুড়ে দিল BSF!

বাংলার শ্রমিককে 'বাংলাদেশি' বলে দাগিয়ে সেই দেশে পুশব্যাক!

worker from Maldah was pushed back from Rajasthan to Bangladesh
Published by: Suhrid Das
  • Posted:July 25, 2025 4:21 pm
  • Updated:July 25, 2025 5:31 pm   

বাবুল হক, মালদহ: বাংলার শ্রমিককে ‘বাংলাদেশি’ বলে দাগিয়ে সেই দেশে পুশব্যাক! ওই শ্রমিককে পে লোডার মেশিনের সাহায্যে বিএসএফ সীমান্তে কাঁটাতারের ওপারে ছুড়ে পাঠিয়েছে বলে মারাত্মক অভিযোগ। মালদহের বাসিন্দা ওই পরিযায়ী শ্রমিক রাজস্থানে কাজ করতে গিয়েছিলেন। ঘটনার কথা পরিবারের সদস্যরা জানার পরই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। দ্রুত তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হোক। সেই দাবিই তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা। জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে ওই পরিবার।

Advertisement

বিজেপিশাসিত একাধিক রাজ্যে বাংলায় কথা বললে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক শ্রমিককে বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, একাধিক জেলার শ্রমিককে বাংলাদেশে পুশব্যাক করার ঘটনাও ঘটেছে। পরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হস্তক্ষেপে সেসব শ্রমিকরা নিজেদের বাড়িতে ফেরেন। বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলাভাষার বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসে’র অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আবহে এবার মালদহের পরিযায়ী শ্রমিককে বাংলাদেশে পুশব্যাকের ঘটনা সামনে এল। জানা গিয়েছে, মালদহের কালিয়াচকের বাসিন্দা আমির শেখ পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় তিনমাস আগে তিনি রাজস্থানে কাজের জন্য গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বাংলাতেই কথা বলেন। অভিযোগ, বাংলাদেশি অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করে রাজস্থান পুলিশ। তাঁর কাছে দেশের নাগরিক হিসেবে সচিত্র পরিচয়পত্র থাকলেও, সেসব কথা কানে তোলা হয়নি বলে অভিযোগ।

শুধু তাই নয়, আমির শেখকে রাজস্থানের ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এরপর তাঁকে বাংলাদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। সম্প্রতি রাজস্থান পুলিশ আমির শেখকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট সীমান্তে পাঠিয়েছিল। বিএসএফের মাধ্যমে তাঁকে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায় পুশব্যাক করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আরও মারাত্মক অভিযোগ, তাঁকে পে লোডার মেশিনের সাহায্যে সীমান্তের কাঁটাতারের ওপারে ছুড়ে দেওয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন বলে খবর। সেই ভিডিও তাঁর পরিবারের লোকজন দেখে বিচলিত, ভয় পেয়েছেন। পরিবারের লোকজন আতঙ্কে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।

ঘটনার কথা জানতে পেরে মালদহ জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁর বাড়িতে প্রতিনিধি দল গিয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন মালদহ জেলা পরিষদের সদস্যরা। পরিবারের দাবি, আমিরের আধার কার্ড-সহ অন্যান্য পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও তাঁকে আটক করা হয়েছিল। আমিরকে ফিরিয়ে আনার জন্যে ইতিমধ্যেই পরিবারের তরফে প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ