Advertisement
Advertisement
Alipurduar

আলিপুরদুয়ারে বন্ধ ১০টি চা বাগান, অর্ধাহারে দিন কাটছে শ্রমিকদের, শিকেয় বাচ্চাদের পড়াশোনা

চা বাগানের সমস্যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

Workers are facing problems for 10 tea garden closed in Alipurduar
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:January 12, 2025 10:30 am
  • Updated:January 12, 2025 7:01 pm  

রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: বন্ধ হচ্ছে একের পর এক চা বাগান। আর সাইরেনের শব্দে ঘুম ভাঙে না চা শ্রমিকদের। যে দুটি হাত শুধু চায়ের পাতা ও কুড়ি তুলতেই অভ্যস্ত, তা এখন  ভারী বস্তু তুলতেও রাজি। জীবন-জীবিকা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তায় রয়েছেন আলিপুরদুয়ারের শ্রমিকরা। অর্ধাহারে দিন কাটছে অনেকের।

Advertisement

বছরের শুরুতেই বৃহস্পতিবার আচমকা বন্ধ করে দেওয়া হয় কালচিনির মেচপাড়া চাবাগান।  ম্যানেজাররা কারখানার গেটে তালা বন্ধ করে চলে যান। আগে থেকে কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি বলে দাবি। শ্রমিকরা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি, সকালে উঠে দেখবেন কারখানা বন্ধ। শ্রমিকদের দাবি, অর্ধাহারে দিন কাটানোর পাশাপাশি, এই জানুয়ারি মাসে বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি করাতে পারছেন না। এই নিয়ে আলিপুরদুয়ারে মোট ১০টি চাবাগান বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

এক শ্রমিক বলেন, “আচমকা কারখানা বন্ধ হওয়ায় আমাদের খুব সমস্যা হচ্ছে। আধপেটা অবস্থায় দিন কাটছে। আরও একজন বলেন, “এই সময়টা বাচ্চাদের স্কুলের ভর্তির সময়।টাকার অভাবে স্কুলে ভর্তি করতে পারছি না। অনেকেই বাইরের শহরে গিয়ে কাজ করার কথা ভাবছেন। সরকার আমাদের দিকে তাকায় না। তবে আশা রাখছি কয়েকদিনের মধ্যে কিছু ব্যবস্থা নেবে।”

এদিকে, চাবাগানের সমস্যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বেসরকারি মালিকদের উপর সবরকম নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় না বলে জানিয়েছে তৃণমূল। বিজেপি আবার সরকার ও মালিকের যোগসাজশের অভিযোগ তুলেছে। রাজনৈতিকদের একের অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়িতে শ্রমিকের ঘরে হাঁড়ি চড়বে না বলে দাবি তাঁদের। সবপক্ষই বন্ধ চা বাগানগুলি খোলার চেষ্টা করুক বলে দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement