প্রতীকী ছবি
শেখর চন্দ্র, আসানসোল: আত্মীয়র বাড়িতে যাওয়া নিয়ে অশান্তির জের। প্রেমিকাকে খুন করে কুয়োয় ফেলার অভিযোগ উঠল প্রেমিক ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির লাইন পার এলাকায় তুমুল উত্তেজনা। কিশোরীর প্রেমিক ও তার ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে ওই এলাকার কিশোরী বছর ষোলোর মণিকা মণ্ডল নিখোঁজ হয়। বাড়ির লোক ও পাড়াপ্রতিবেশীরা খোঁজখবর শুরু করে। তবে তার কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে মঙ্গলবার বিকেলে ওই কিশোরীর প্রতিবেশী শুভম বাউরির বাড়ির পাশে কুয়ো থেকে উদ্ধার হয় কিশোরীর মৃতদেহ। বুধবার আসানসোল জেলা হাসপাতাল কিশোরীর ময়নাতদন্ত হয়। এরপর মৃতদেহ এলাকায় পৌঁছলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিবারের লোকজন ও পাড়া প্রতিবেশীরা চড়াও হয় শুভমের বাড়িতে। মারধর করা হয় তাদেরকে। তাঁদের সন্দেহ মৃত্যুর ঘটনার পিছনে শুভমের হাত রয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুভম এবং তার ভাই রোহন বাউরিকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
নিহত কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, তাকে খুন করেছে শুভম ও তার ভাই রোহন। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, শুভমের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কিশোরীর। নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তার প্রেমিক শুভমকে দেখা যায়নি। দিনকয়েক আগে ওই কিশোরী তার এক আত্মীয়র বাড়ি যাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’জনের মধ্যে ঝামেলা বিবাদ হয়। তখনই শুভম তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। তারপরই তাদের সম্পর্কে ছেদ পড়ে। মৃতার পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ করলে সেখানে পাওয়া যায় কিশোরীর জুতো। মৃতার দাদা পঙ্কজ মণ্ডলের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে শুভমের পরিবার ওই কিশোরীকে খুন করে কুয়োয় ফেলে দিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ি পুলিশ। শুভম ও তার ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.