Advertisement
Advertisement
BJP

ওড়িশায় গয়না চুরি করে পালাতে গিয়ে বিপত্তি! গ্রেপ্তার মেদিনীপুরের ‘প্রভাবশালী’ বিজেপি নেতা

সুকান্ত মজুমদার, তারকা বিধায়ক হিরণের সঙ্গে সোমনাথের ছবি ভাইরাল।

Youth BJP leader with West Midnapore arrested allegedly theft gold from Orissa
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 28, 2025 5:04 pm
  • Updated:June 28, 2025 5:10 pm  

সম্যক খান, মেদিনীপুর: ফের বিতর্কের মুখে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। ভিনরাজ্যে গিয়ে গলার চেন দেখার নাম করে সোজা তা পকেটস্থ করে পালানোর সময় গ্রেপ্তার বিজেপির প্রভাবশালী যুব নেতা। ধৃতের নাম সোমনাথ সাহু। জানা যাচ্ছে, ওড়িশার জলেশ্বরে একটি গয়নার দোকানে সোনার চেন দেখার নাম করে তা হাতিয়ে একটি স্করপিও গাড়ি করে পালাচ্ছিলেন তিনি। স্থানীয় জনতা তাঁকে ধাওয়া করে, তারপর ওড়িশা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় সোমনাথকে। ঘটনাটি প্রকাশ‌্যে আসতেই বিপাকে বিজেপি।

একদিকে কলকাতা আইন কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় ধৃতের সঙ্গে শাসকদলের নেতাদের ছবি নিয়ে বিরোধিতার অস্ত্রে শান দিতে ব্যস্ত জেলা তথা রাজ‌্য বিজেপির প্রথম সারির সব নেতারা, ঠিক তখনই তৃণমূল শুরু হয়েছে পালটা প্রচারও। ওড়িশায় সোনা চুরির ঘটনায় ধৃত সোমনাথ সাহু ছিলেন জেলা বিজেপি যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক। জেলার নেতাদের সঙ্গে তো বটেই, রাজ‌্য নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ বৃত্তেও অবারিত ঢুকতে পারতেন তিনি। রাজ‌্য সম্পাদক সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে খড়্গপুরের তারকা বিধায়ক হিরণের সঙ্গেও ছবি আছে সোমনাথের।

গ্রেপ্তার বিজেপি যুব নেতা সোমনাথ সাহু। নিজস্ব ছবি।

জানা গিয়েছে, ধৃত সোমনাথের আদি বাড়ি মেদিনীপুর শহরের পাটনা বাজার এলাকায়। কিন্তু বর্তমানে তিনি সপরিবারে থাকেন শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের হবিবপুরে। ওই ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই গত পুরসভা নির্বাচনে তার স্ত্রী স্মৃতিলেখা সাহু বিজেপির প্রার্থীও হয়েছিলেন। জেলা রাজনীতিতে মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সভাপতি আশীর্বাদ ভৌমিক থেকে শুরু করে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ রায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন সোমনাথ।

ওড়িশায় সোনা চুরি করে পালানোর সময় যে স্করপিও গাড়িটি ওড়িশা পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে, বিতর্ক দেখা দিয়েছে সেই গাড়িটি নিয়েও। জানা গিয়েছে, প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের সময় মেদিনীপুর থেকে একঝাঁক বিজেপি নেতা সেখানে স্নান করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় যে চার-পাঁচটি গাড়ি করে নেতারা গিয়েছিলেন, তার মধ‌্যে এই স্করপিও গাড়িটিও ব‌্যবহার করা হয়েছিল। তবে সোনা চুরির ঘটনায় ধরা পড়ার পর এখন সোমনাথের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে ব‌্যস্ত জেলা বিজেপি নেতারা। জেলা বিজেপি মুখপাত্র অরূপ দাস বলেছেন, ”গত একবছর ধরে সোমনাথ পার্টির দৈনন্দিন কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না।” আশীর্বাদ ভৌমিক জানিয়েছেন, সোমনাথ সক্রিয় সদস‌্যপদও গ্রহণ করেনি। তাঁর এহেন চৌর্যবৃত্তি যে পার্টির মুখ পুড়েছে, তা নেতাদের কথাবার্তাতেই পরিষ্কার।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement