ক্ষুদ্�?চা চাষি সংগঠ�?সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়�? আলিপুরদুয়া�? কোচবিহার, উত্ত�?দিনাজপুর এব�?শিলিগুড়ি মহকুমা�?৫০ হাজা�?ছো�?চা বাগা�?রয়েছে। সেখানে বছরে গড়�?�?হাজা�?২৫�?মিলিয়ন কেজি কাচা চা পাতা উৎপাদন হয়�?ওই সমস্�?বাগানে কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা প্রা�?এক লক্ষ�?বৃষ্টি না হওয়া�?চা বাগানে�?বেহা�?দশায় তাঁদের ভবিষ্য�?অনিশ্চিত হয়�?পড়েছিল�?তব�?প্রকৃত�?তাঁদের বাঁচিয়�?দিয়েছে বল�?জানাচ্ছে�?তাঁরা।

উত্তরে বর্ষার সূচন�?হয় ১০ জুন। এবার নির্দিষ্�?সময়ে�?অনেক আগ�?২৯ মে বর্ষ�?ঢুকলেও শুরুতে একটানা বৃষ্টি�?দেখা মেলেনি�?বিক্ষিপ্তভাব�?যতটুকু বৃষ্টি হয়েছিল তা যথেষ্ঠ ছি�?না বলেই জানিয়েছিলে�?শ্রমিকরা�?তারপরই তাপমাত্র�?৩৫ ডিগ্রি থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস�?পৌঁছ�?যায়। সে�?সঙ্গ�?বাতাসে জলী�?বাষ্পে�?পরিমাণ বেশি থাকা�?চা বাগানে লুপা�? লা�?মাকড়সা�?তাণ্ডব বেড়েছে�?রাতারাতি হেক্টরের পর হেক্টর বাগানে গাছে�?পাতা খেয়�?ফেলছিল পোকা�?ফল�?গাছে�?বৃদ্ধি কম�?যায়। ওই পরিস্থিতিত�?যখ�?চা পাতা উৎপাদন উদ্বেগজন�?ভাবে কম�?যাওয়�?শঙ্ক�?বেড়েছি�?ঠি�?তখ�?শুরু হয়েছ�?ভারী থে��ে অতিভারী বৃষ্টি হয়�?যা�?ফল�?খুশি�?হাওয়�?চা বলয়জুড়ে।

ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফোরা�?অফ স্মল টি গ্রোয়ার্�?অ্যাসোসিয়েশন�?চেয়ারম্যান রজ�?রা�?কার্জি জানা�? আবহাওয়�?পরিবর্তনের জেরে উত্তরে�?চা শিল্পে উৎপাদন�?ঘাটত�?বেড়ে�?চলেছে। লোকসানের ধাক্কা�?ইতিমধ্যে পাহা�?সমতল�?১৯টি বড় চা বাগা�?বন্ধ হয়েছে। বেকা�?হয়েছেন প্রা�?৪০ হাজা�?শ্রমিক�?ধুকে চলছে আর�?অন্ত�?দশটি চা বাগান। পুজো�?মুখে সেগুলো�?ঝাঁপ বন্ধ হওয়া�?সম্ভাবনা ছিল। এর�?মধ্য�?ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণে�?দেখা মিলত�?আশার আল�?জেগেছে�?নর্থ বেঙ্গল টি প্রডিউসা�?ওয়েলফেয়া�?অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি তথ�?দার্জিলি�?পাহাড়ে কয়েকটি চা বাগা�?মালি�?সতী�?মিত্রুকা পর্যাপ্ত বৃষ্টি নিয়ে বলেন, “এট�?চা শিল্পে আশীর্বাদে�?মতো। বৃষ্টি�?অভাব�?এবার মরশুমে�?শুরু থেকে উৎপাদন মা�?খেয়েছে�?এখ�?দেখা যা�?কতটা ঘাটত�?পূরণ হয়�?#8221;

পাটে�?গুণগ�?মা�?নির্ভর কর�?পাটে�?রঙের উপর। উন্নতমানের পা�?পেতে হল�?জাঁক দেওয়া�?সময় প্রয়োজন হয�?পর্যাপ্ত জলের�?কিন্তু বিগত দু’বছর�?সেভাবে বৃষ্টি হয়নি। খালবিল, নালা, গ্রামী�?এলাকার জলাশয়গুলিতে সেভাবে জল ছি�?না�?তা�?পাটে�?জাঁক দেওয়া�?সময় চাষিদে�?প্রচণ্�?বিড়ম্বনার মধ্য�?পড়ত�?হয়েছিল। এমনক�?কৃষিজমিত�?খা�?কেটে সাবমার্সিব�?পাম্পে�?জল কিনে কোনও কোনও চাষিকে পা�?জাঁক দেওয়া�?ব্যবস্থা করতে হয়েছিল। জলের সংকটের কারণ�?বিগত দু’বছর ভালো মানে�?পা�?পানন�?তাঁরা। এবছর উল্ট�?ছবি। তাতে�?মুখে হাসি পা�?চাষিদের। ভাগীরথী�?তীরবর্তী এলাকায�?অনেক পাটচাষ হয়। নদী�?জল অনেক বেড়েছে�?ছাড়িগঙ্গ�?থেকে নিচু জমিগুলিত�?জল জম�?রয়েছে�?তা�?জাঁক দেওয়ায় কোনও সমস্যা নেই।

কৃষিদপ্ত�?সূত্রে জানা গিয়েছ�? কাটোয়া মহকুমা এলাকায�?গড়�?৯৭�?৯৮�?হেক্টর জমিত�?পা�?চা�?হয়�?তা�?মধ্য�?কাটোয়া �?ব্লক�?প্রা�?১৭�?হেক্টর, কাটোয়া �?ব্লক�?৪৬�?হেক্টর, কেতুগ্রা�?�?ব্লক�?প্রা�?৬৫-৭০ হেক্টর, কেতুগ্রা�?�?ব্লক�?২১�?�?মঙ্গলকোট�?৬০ হেক্টর জমিত�?পা�?চা�?হয়�?এছাড়া পূর্বস্থলী -�?ব্লক�?উল্লেখ্যযোগ্�?হারে পা�?চা�?হয়। প্রা�?৪০০০ হেক্টর জমিত�?পা�?চা�?��য় পূর্বস্থলী �?ব্লকে।

কৃষিদপ্ত�?সূত্রে জানা গিয়েছ�? পাটগাছ তৈরি হত�?সময় লাগে প্রায় ১২�?দিন। এরপর পাটগাছকে তুলে জল�?জাঁক দিতে হয়�?১২�?দিনে�?বেশি পেরিয়�?গেলে তন্তুর মা�?�?রং খারা�?হয়ে যেতে পারে�?আর পা�?জাঁক দিতে লাগে প্রচুর জল�?বিশে�?কর�?যেখানে জলের অল্প স্রো�?থাকে সে�?জলাশয় হল সবচেয়�?উৎকৃষ্ট। তাতে পাটে�?মা�?খু�?ভালো হয়।
কাটোয়�?এলাকায�?সাধারণ�?পা�?বিক্রি�?কোনও সমস্যা নেই। জু�?কর্পোরেশ�?অব ইন্ডিয়�?লিমিটেডে�?কাটোয়া আঞ্চলি�?অফিসের মাধ্যম�?পা�?ক্রয�?কর�?হয়। গুনগ�?মা�?অনুযায়ী দা�?পাওয়�?যায়। ২০২৪-’২�?বর্ষ�?কাটোয়াতে চাষিদে�?থেকে এক হাজা�?কুইন্টাল পা�?সংগ্রহ করেছিল জু�?কর্পোরেশ�?অফ ইন্ডিয়া�?এবছর সে�?পরিমাণ বাড়বে বলেই অনুমান�?/p> ]]> 2025-08-12 13:55:55 //betvisa888.com/wp-content/uploads/2025/08/Bardhaman.jpg Bangla News, Bardhaman, Bengali News, West Bengal //betvisa888.com/farming/farmers-of-kalna-cultivate-lemon-for-profit/ Mon, 28 Jul 2025 08:42:46 +0000 //betvisa888.com/?p=1064242 অভিষেক চৌধুরী, কালন�? গতানুগতি�?প্রথ�?ছেড়ে বিকল্প হিসাবে পাতিলেবু চাষকেই বেছে নিচ্ছে�?পূর্বস্থলী�?অনেক চাষি�?কারণ, অল্প ব্যয় �?পরিশ্রমে অর্থনৈতিকভাব�?লাভবান হচ্ছেন তারা�?এই রাজ্যে�?পাশাপাশি ভিনরাজ্য�?পাতিলেবু পাড়ি দেওয়ায় ‘লক্ষ্মীলা�?#8217; হচ্ছ�?তাঁদের�?কর্মসংস্থা�?হচ্ছ�?চাষে�?সঙ্গ�?যুক্�?থাকা মহিলাদেরও।

বাড়ি হো�?বা অনুষ্ঠান, শরবতের দোকা�?হো�?বা হোটে�?রেস্তোরা�? সারাবছ�?ধরেই পাতিলেবু�?চাহিদা থাকে�?গর�?বাড়তেই সে�?চাহিদা ওঠ�?তুঙ্গে�?কোনও কোনও সম�?পাতিলেবু�?দা�?চড়�?হতেই চিন্তা�?ভাঁজ পড়�?যা�?শরবত ব্যবসায়ীদের। ফল�?এই চাষে লা�?যে রয়েছ�?তা বলাই বাহুল্য। এদিক�?এত�?যত্নের প্রয়োজ�?হয় না, তা�?পরিশ্রমও কম লাগে�?অত্যধি�?গর�?বা আর্দ্রতা�?গাছে�?তেমন কোনও ক্ষত�?হয়না�?শুধু তা�?নয়, একটি লেবু গা�?ফল দে�?প্রা�?এক দশ�?ধরে। তোতন সাঁতরা নামে পূর্বস্থলী�?এক চাষি বলেন, “প্রা�?কুড়ি বছ�?ধর�?আমরা হাইব্রিড পাতিলেবু�?চা�?কর�?চলেছি। বে�?লাভজনক চাষ। খর�?কম�?যাদে�?জম�?জায়গ�?বেশি আছ�? তারা এই লেবুগা�?বেশি লাগাচ্ছেন।” তিনি বলেন, “গা�?লাগানো�?দু-তি�?বছরে�?মধ্যেই ফল�?পাওয়�?যায়। একটি গা�?পাঁচ থেকে দশ বছ�?পর্যন্�?ফল দেয়। পাতিলেবু চাষে বছরে দুবা�?ফল পাওয়�?যায়। একটি বড় গাছে চা�?থেকে পাঁচ হাজা�?ফল মেলে�?পৌ�?মাষে পাতিলেবু�?দামট�?বেশি পাওয়�?যায়। প্রত�?লেবু পাইকার�?�?�?টাকা দর�?দা�?মেলে�?বাকি সময়ে �?�?টাকা দর�?বিক্রি হয়�?এই লেবু নিতে ব্যবসায়ীরা বিহা�? ওড়িশা, ঝাড়খণ্�?থেকে আসেন�?#8221;

লেবু তোলা�?জন্য প্রয়োজ�?হয় কর্মীদের। মহিল�?কর্মীরা এই কাজে বেশি দেখা যায়। লেবু তোলা�?জন্য প্রতিদিন তাদে�?পারিশ্রমিক�?মেলে বল�?জানা�?আদুর�?মাঝি, সবিত�?সাঁতরারা�?কৃষি বিশেষজ্ঞ পার্�?ঘো�?জানা�? কাঁট�?প্রকৃতির এই গাছে গবাদ�?পশুর উপদ্রব কম�?কষ্টসহিষ্ণ�?এই গাছে�?পরিচর্যা�?কম�?অন্যান্য ফসলে�?তুলনায় পাতিলেবু চাষে�?ঝুঁক�?অনেকটা�?কম �?লাভজনক�?তিনি বলেন, “করোন�?পরবর্তীকালে রো�?প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো�?জন্য ভিটামি�?‘সি’ ভরপু�?পাতিলেবু ব্যবহারে�?প্রবণত�?লক্ষ্য কর�?যাচ্ছে বেশি পরিমাণে। এছাড়াও বিভিন্�?অনুষ্ঠান, হোটেলে পাতিলেবু�?চাহিদা রয়েছে। এই ফস�?সহজে�?যেকোনও বাজারে বিক্রি হয়�?একারণে দিনদিন চাষে�?/p> ]]> 2025-07-28 14:12:46 //betvisa888.com/wp-content/uploads/2025/07/Lebu.jpg Agriculture, Kalna, Lemon //betvisa888.com/farming/red-spider-mite-attacks-damage-darjeeling-tea-gardens/ Wed, 23 Jul 2025 13:00:06 +0000 //betvisa888.com/?p=1062887 বিশ্বজ্যোত�?ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: কিছুদি�?আগ�?সবুজ খেকো ‘লুপা�?ক্যাটা�?পিলা�?#8217; হানা দিয়েছিল। সে�?ধাক্কা সামল�?না উঠতে�?এবার লা�?মাকড়শা�?হানা�?একরে�?পর এক�?চা বাগানে�?পাতা কুঁকড়ে কালো হয়েছে। পুজো�?আগ�?এম�?বিপর্যয়ে মাথা�?হা�?পড়েছ�?উত্তরে�?অন্ত�?৫০ হাজা�?চা চাষির।

চা চাষি এব�?বণিকসভাগুল�?সূত্রে জানা গিয়েছে, লা�?মাকড়শা�?উপদ্রব চা বলয়ে নতুন কিছু নয়�?কিন্তু ওই সমস্যা দেখা দে�?মার্�?এপ্রিলের গরমে�?গর�?�?শুষ্�?আবহাওয়া�?লা�?মাকড়শ�?দ্রু�?বং�?বিস্তা�?করে। বর্ষার মরশুমে বৃষ্টি�?জল�?ধুয়ে যায়। বং�?বিস্তা�?করতে পারে না�?এবার ভর�?বর্ষায় একটানা বৃষ্টি�?দেখা নেই। তা�?উপরে বিক্ষিপ্তভাব�?যতটুকু বৃষ্টি হচ্ছ�?তারপরই তাপমাত্র�?৩৫ ডিগ্রি থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস�?পৌঁছ�?যাচ্ছে�?সে�?সঙ্গ�?বাতাসে জলী�?বাষ্পে�?পরিমাণ বেশি থাকা�?লা�?মাকড়শা�?সংখ্যা বেড়ে�?চলেছে। রাতারাতি হেক্টরের পর হেক্টর চা বাগানে গাছে�?পাতা খেয়�?ফেলছে। ফল�?গাছে�?বৃদ্ধি কমতে শুরু করেছে। চা পাতা উৎপাদন উদ্বেগজনকভাব�?কম�?যাওয়�?শঙ্ক�?বেড়েছে�?বাজারে প্রচলি�?ওষুধ�?তেমন কা�?না হওয়া�?উত্ত�?দিনাজপুর, তরাই এব�?জলপাইগুড়�?জেলা�?কয়েক হাজা�?ক্ষুদ্�?চা চাষিদে�?অনেকেই অসময়�?চা গা�?ছেটে ফেলছেন�?কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্�?অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিজয় গোপা�?চক্রবর্তী বলেন, “এবার চা শিল্�?মারাত্মক ক্ষতির মুখে দাঁড়িয়েছে। ভর�?বর্ষায় বৃষ্টি নেই। তাপমাত্র�?বেড়ে�?চলেছে। এর ফল�?রো�?পোকা�?আক্রমণ�?নাজেহা�?দশ�?হয়েছে।”

বিস্তীর্�?এলাকার চা গাছে�?সবুজ দুটি পাতা �?কুড়ি নেই। ঝলসে, কুকড়�?লা�?হয়েছ�?বাগানে�?পর বাগান। ময়নাগুড়ি�?রামশাই এলাকার চা চাষি মানি�?সরাকার বলেন, “এক রা�?সম�?দিচ্ছে না�?এদিক�?ওষুধেও কা�?হচ্ছ�?না�?যে পাতা এখ�?বাগানে রয়েছ�?তা বিক্রি�?হব�?না�?#8221;  ক্ষুদ্�?চা চাষি সংগঠ�?সূত্রে জানা গিয়েছে জলপাইগুড়�? আলিপুরদুয়া�?  কোচবিহার, উত্ত�?দিনাজপুর জেলা এব�?শিলিগুড়ি মহকুমা�?৫০ হাজা�?ছো�?চা বাগা�?রয়েছে। সেখা�?থেকে বছরে গড়�?�?হাজা�?২৫�?মিলিয়ন কেজি কাচা চা পাতা উৎপাদন হয়�?ওই সমস্�?বাগানে কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা প্রা�?এক লক্ষ�?চা পাতা উৎপাদন কম�?যাওয়ার শঙ্ক�?দেখা দিয়েছে�?তাঁদের একাংশে�?ভবিষ্য�?অনিশ্চিত হওয়া�?আশঙ্কা�?‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফোরা�?অব স্মল টি গ্রোয়ার্�?#8217;-এর চেয়ারম্যান রজ�?কার্জি বলেন, “এবার আবহাওয়ার জন্য চা শিল্�?ভয়ঙ্কর সংকটের মুখে দাঁড়িয়েছে। চা বাগানে�?জন্য ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্র�?এব�?দিনে রো�? রাতে বৃষ্টি প্রয়োজন। সেটা মিলছ�?না�?দিনে প্রখ�?রোদ। বৃষ্টি নেই। তা�?উপ�?এই লা�?মাকড়শা�?হানা�?শেষপর্যন্ত কী পরিস্থিত�?দাঁড়াব�?বুঝত�?পারছ�?না�?#8221;

ধা�?সঠিক পরিমাণ�?উৎপাদন না হল�?কত টাকা�?ক্ষত�?হত�?পারে? সে�?প্রশ্ন�?উঠছে�?শ্রাবণ মাসে বৃষ্টি হল�?কতটা সম�?আম�?ধা�?চাষে সম�?পাওয়�?যাবে? সে�?প্রশ্ন�?উঠছে�?ভর�?বর্ষায় প্রখ�?রোদে�?দাপট�?অসহ্�?গরম। রবিবার তাপমাত্রার পারদ চড়েছ�?৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। রাতে বিক্ষিপ্তভাব�?হালক�?বৃষ্টি হলেও কাজে লাগেনি�?মাঠে জল জল দাঁড়ায়নি�?জলের অভাব�?উঁচু জমিত�?ধা�?চারা বুনত�?পারছেন না চাষিরা�?নিচু জমিতেও জলের টা�?ধরেছে।

কিছু চাষি ঘন্টায় দুশো টাকা খর�?কর�?সেচে�?জল�?নিচু জমিত�?ধানে�?চারা বুনেছিলেন। সেখানে�?খরার মত�?মাটি ফুটিফাটা হয়েছে। ধানে�?বীজতলা ঝলসে হলুদ হয়েছে। নতুন কর�?বুনবেন সে�?চারা মিলছ�?না গ্রামে�?এম�?পরিস্থিতিতেও ভারী বর্ষণে�?সুখব�?দিতে পারছেন না আবহাওয়�?দপ্তরে�?কর্তারা। তারা জানিয়েছে�? আগস্টে�?প্রথ�?সপ্তাহ পর্যন্�?এক�?পরিস্থিত�?চলতে পারে�?কৃষিদপ্তরে�?কর্তার�?জানিয়েছে�? তেমন হল�?এবার ধানে�?ফল�?উদ্বেগজনকভাব�?মা�?খাবে�?শুধু তা�?নয়�?উঁচু জমিত�?ধা�?কেটে নেওয়ার পর শুরু হয় পুজো�?সবজি চাষ। এবার সেটা�?মা�?খাবে�?জলপাইগুড়�?জেলা�?ময়নাগুড়ি ব্লকের উত্ত�?মাধবডাঙা গ্রামে�?ধা�?চাষি গৌরাঙ্�?শর্ম�?বলেন, “জলের অভাব�?গ্রামে�?প্রত্যেকের ধানখেতের মাটি শুকিয়েছে�?ধানচার�?হলুদ হচ্ছে। বৃষ্টি না হল�?সর্বনা�?হয়�?যাবে�?#8221;

এরপর যুদ্ধবিরতি হলেও অর্থনৈতি�?বিপর্যয়ে�?কারণ�?এখনও থমকে আছ�?বাণিজ্য। পুজো�?আগ�?ইরান�?চা রপ্তান�?সম্ভ�?হব�?না বলেই মন�?করছে�?চা বণিকসভার কর্তারা। এদিক�?রপ্তান�?বাণিজ্�?বন্ধ হওয়া�?উত্তরবঙ্�?এব�?অসমে�?চা শিল্�?অর্থনৈতি�?বিপর্যয়ে�?মুখে দাঁড়িয়েছে। তা�?খারা�?প্রভাব আগামী পুজো বোনাসে�?পড়তে পারে বলেও বণিকসভাগুলোর দাবি�?/p>

কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের ভাইস চেয়ারম্যান সতী�?মিত্রুকা বলেন, “ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি হলেও পরিস্থিত�?এখনও স্বাভাবি�?হয়নি�?এক্সপোর্�?অফিসগুলো খোলেনি�?এখনও ভারত থেকে ইরান�?চা রপ্তান�?সম্ভ�?হচ্ছ�?না�?পুজো�?আগ�?পরিস্থিত�?স্বাভাবি�?হব�?বলেও মন�?হচ্ছ�?না�?এরপর�?অর্থনৈতি�?বিপর্যয়ে�?কারণ�?দা�?কতটা মিলব�? সেটা নিয়ে�?সংশয় থেকে যাবে�?#8221; ইন্ডিয়ান টি প্ল্যানটার্স অ্যাসোসিয়েশনের ডুয়ার্�?শাখা�?সচিব রামঅবতার শর্ম�?জানা�? মধ্য প্রাচ্যে�?যুদ্ধে�?যে ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়েছ�?তরাই, ডুয়ার্�?সহ উত্ত�?পূর্বাঞ্চলের চা শিল্পে সেটা কাটত�?অনেক সম�?লাগবে।

উত্তরবঙ্�?�?অসমে�?অর্থডক্স চায়ে�?বিরা�?বাজা�?রয়েছ�?ইরান �?সংলগ্ন দেশগুলোতে। সেখানে চা রপ্তান�?স্বাভাবি�?না হল�?দা�?স্থিতিশী�?জায়গায় আসবে না�?চা বণিকসভাগুল�?সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের অর্থডক্স চা ইরান ছাড়া�?আজারবাইজান, কাজাখস্তান�?রপ্তান�?হয়�?প্রা�?২৬�?মিলিয়ন কেজি চা সেখানে যায়। ওই চায়ে�?বেশিরভাগ উৎপাদন হয় অসমে�?যুদ্ধে�?কারণ�?ফার্স্�?ফ্লাশে�?চা রপ্তান�?মারাত্মকভাবে মা�?খেয়েছে�?জুলা�?মা�?থেকে বর্ষার চা উৎপাদন শুরু হয়েছে। কিন্তু যুদ্�?বন্ধ হলেও চায়ে�?বুকি�?আসছে না�?অর্থনৈতি�?বিপর্যয়ে�?কারণেই সেখানকার ব্যবসায়ীরা চা কিনত�?সাহস পাচ্ছে�?না�?চা উৎপাদকরা�?বুঝত�?পারছেন না পরিস্থিত�?কব�?স্বাভাবি�?হবে। ইতিমধ্যে চা নিলা�?কেন্দ্রগুলোত�?মধ্যপ্রাচ্যে চা সরবরাহকারী সংস্থা না থাকা�?অর্থডক্স চায়ে�?চাহিদা �?দা�?দুটো�?কমছে�?/p>

পরিস্থিত�?সামা�?দিতে অনেকেই অর্থডক্স চা উৎপাদন বন্ধ কর�?সিটিসি চা উৎপাদন�?চল�?গিয়েছেন। কিন্তু সেটাতে�?খু�?একটা লা�?হচ্ছ�?না�?কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্�?অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিজয় গোপা�?চক্রবর্তী বলেন, “এক�?ইরান ২০ মিলিয়ন কেজি�?বেশি অর্থডক্স চা কিনে থাকে�?যুদ্ধবিরতি হলেও সেখানে চা রপ্তান�?এখনও বন্ধ আছে। মধ্যপ্রাচ্যে�?বিমানবন্দরগুলো এখ�?যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ�?স্বাভাবিকভাবেই ইরান সংলগ্ন দেশগুলোতেও চা রপ্তান�?সম্ভ�?হচ্ছ�?না�?আশ�?কর�?যাচ্ছে, পুজো�?পর কিছুটা চা রপ্তান�?শুরু হত�?পারে�?#8221; চা বণিকসভাগুলোর শঙ্ক�? মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তান�?বাণিজ্�?বন্ধ হওয়া�?উত্তরবঙ্�?এব�?অসমে�?চা শিল্�?যে অর্থনৈতি�?বিপর্যয়ে�?মুখে দাঁড়িয়েছ�? সেটা সামল�?ওঠ�?কঠিন হয়�?দাঁড়াবে। তা�?খারা�?প্রভাব আগামী পুজো বোনাসে পড়তে বাধ্য।

ময়নাগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজা�?জুড়ে কাঁঠালের পাহাড়। গ্রা�?�?চা বাগা�?এলাকার লোকজ�?গাড়ি বোঝা�?কর�?কাঁঠাল নিয়ে হাজি�?সেখানে�?ভি�?করেছেন বিহা�? উত্তরপ্রদে�? দিল্লি�?ক্রেতারা�?ওজনে�?পর�?কাগজ�?মুড়ে বিশে�?ভাবে প্যাকে�?কর�?গাড়িতে তোলা হচ্ছে। জানুয়ারি মা�?থেকে শুরু হয়েছ�?ওই কারবার�?চলেছ�?এপ্রিল মা�?পর্যন্ত। জু�?থেকে যাচ্ছে আধপাকা কাঁঠাল�?পাইকার�?ব্যবসায়ী সুবল দা�?এক গা�?হেসে বলেন, “এতদিন ধারণ�?ছি�?কেবল বাঙালিরা কাঁঠাল পছন্�?করে। গত তি�?বছরে ধারন�?পাল্টেছে�?দেশে�?বিভিন্�?প্রান্তে�?ভোজন রসিকদে�?কাছে ক্রম�?কাঁঠালের কদ�?বেড়ে চলেছে।�?বিহারে�?সিমা�?এলাকার ব্যবসায়ী দিনালা�?শর্ম�?বলেন, “পরিবহনে�?খর�?ধর�?খুচর�?বাজারে ওই কাঁঠাল ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হবে।�? 

উদ্যান পালন দপ্ত�?সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়�? আলিপুরদুয়া�?এব�?শিলিগুড়ি মহকুমা�?প্রা�?দু’হাজা�?হেক্টর জমিত�?‘অ্যাট্রকার্পাস�?গোত্রে�?‘মালবেরি�?পরিবারভুক্�?কাঁঠাল গা�?রয়েছে। বিজ্ঞানে�?পাতা�?‘অ্যাট্রকার্পা�?হেটারোফাইলাস�?নামে পরিচিত ওই ফলের এখান�?বার্ষি�?গড় উৎপাদন প্রা�?�?হাজা�?মেট্রি�?টন�?শিলিগুড়ি�?উদ্যান পালন দপ্তরে�?এক আধিকারিক জানা�? ভি�?রাজ্যে উত্তরে�?কাঁঠালের চাহিদা বেড়েছে�?তব�?বিদেশে�?বাজারে এখানকা�?কাঁঠাল যাচ্ছে, এম�?খব�?তাঁদের কাছে নেই। জলপাইগুড়�?জেলা�?সবচেয়ে বড় কাঁঠালের পাইকার�?বাজা�?গড়�?উঠেছ�?ময়নাগুড়িতে�?/p>

মালবাজার, নাগরাকাট�? মেটেলি, ওদলাবাড়ি থেকে এখান�?প্রতিদিন কাঁঠাল আসছে�?একদল যুবক গ্রামে ঘুরে কাঁঠাল কিনে পাইকার�?বাজারে পৌঁছ�?দিয়ে রোজগারের পথ খুঁজ�?নিয়েছেন। স্থানী�?ব্যবসায়ী জ্যোতি অধিকারী জানা�? ময়নাগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজা�? রোডহাট, রাজারহাট থেকে প্রত�?সপ্তাহ�?অন্ত�?একশো ট্রা�?কাঁঠাল ভি�?রাজ্যে পাঠানো হয়�?জেলা�?ধূপগুড়�?নিয়ন্ত্রিত বাজা�? ফাটাপুকু�?থেকে�?কাঁঠালের গাড়ি বিভিন্�?রাজ্যে যাচ্ছে�?কচ�?কাঁচ�?কাঁঠালের কদ�?বেশি নেপা�? বিহারে�?সিমা�? দ্বারভাঙ্গ�? সীতামারি, পাটন�?এলাকায়�?এছাড়াও উত্তরপ্রদে�?এব�?মুম্বাইত�?যাচ্ছে�?পাকা কাঁঠালের চাহিদা বেশি দিল্লিতে�?পাইকার�?ব্যবসায়ী বলরা�?সর্দার বলেন, “সপ্তাহে দশটি বাতানুকু�?ট্রাকে আধ পাকা কাঁঠাল দিল্লিতে পাঠানো হয়।�?/p>

এখ�?আম�?ধা�?চাষে�?মরশুম। আমতা �?নম্ব�?ব্লক, উদয়নারায়ণপুর�?ব্যাপক পরিমাণ�?ধা�?এব�?সবজি চা�?হয�?এই মরশুমে�?কিন্তু টানা বৃষ্টি�?জেরে সমস্যায় পড়ছেন চাষিরা�?এই সময় আম�?ধা�?চাষে�?জন্য বীজতলা তৈরি�?সময়�?‌কিন্ত�?বৃষ্টি�?ফল�?জল জম�?থাকা�?বহ�?চাষি তল�?ফেলত�?পারছেন না।�?আবার অনেক�?বীজতলা তৈরি�?জন্য ধা�?ছড়িয়েছিলেন জমিতে। কিন্তু বৃষ্টিতে কিছু ক্ষেত্রে সেগুলো আবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে�?/p>

তাছাড়�?সবজিরও ক্ষত�?হচ্ছে। উদয়নারায়ণপুর�?পট�? ঝিঙে, কুমড়ো-সহ বিভিন্�?সবজি চা�?হয়। কিন্তু অতিরিক্ত বৃষ্টি�?ফল�?গোড়�?পচ�?যাচ্ছে�?নষ্ট হচ্ছ�?ফসল। সবজি এব�?ধা�?ছাড়াও আমতা, উদয়নারায়ণপুর�?বাদা�?এব�?তি�?চা�?হয়। ‌বাদাম এব�?তি�?তোলা�?মরশু�?এই সময়�?বড�?অংশে�?তি�?এব�?বাদা�?তোলা হয়ে গিয়েছে�?কিন্তু ২০ শতাং�?তি�?এব�?বাদা�?জমিত�?রয়ে গিয়েছে। আর এই বৃষ্টিতে সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বল�?চাষিদেরও বক্তব্য। উদয়নারায়ণপুর�?মনশুকা এলাকার চাষি উত্ত�?হাজর�?প্রায় দু’বিঘা তি�?এব�?দু’বিঘা বাদা�?চা�?করেছিলেন�?তিনি বলেন, “আমার জমির অনেকটা বাদা�?এব�?তি�?রয়ে গিয়েছ�?জমিতে। সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অনেক চাষিরই বাদা�?এব�?তি�?চা�?নষ্ট হচ্ছে।

উদয়নারায়ণপুর এলাকার আরেক চাষি মৃত্যুঞ্জয�?সামন্ত বলেন, “আম�?�?বিঘা জম�?চাষে�?জন্য প্রায় ২৫ কিলোগ্রা�?ধানে�?বী�?তৈরি করেছি। কিছু জমিত�?বী�?ফেলত�?সক্ষ�?হয়েছি�?কিছু জমিত�?জল থাকা�?বী�?ফেলত�?পারিনি�?এই বৃষ্টিতে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে�?যদ�?আর�?বৃষ্টি হত�?থাকে, তাহল�?সব বীজতলা নষ্ট হয়ে যাবে�?#8221; তিনি আর�?বলেন, “আবার নতুন কর�?বীজতলা ফেলত�?হবে। সেটাতে�?আবার খরচে�?পালা�?তা�?উপ�?যদ�?বন্য�?হয�? তাহল�?সব মাঠে মারা যাবে�?#8221;