সংক্রমণ রুখতে বাড়ছে মাস্কের চাহিদা (ফাইল ফটো)
সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিশ্বজুড়ে মহামারির আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি হয় চিনের ইউহানে। পরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এই মারণ ভাইরাস। এর জেরে সবাই যখন সংকটে তখন পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে চিন। আর সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভয়াবহ এই ভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সবরকম সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ঢাকায় অবস্থিত চিনা দূতাবাস। ঢাকায় নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত লি জি মিংয়ের স্বাক্ষরিত এক খোলা চিঠিতে এই প্রতিশ্রুতির কথা জানানো হয়।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে পুরো বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে ৪৯ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি সারা বিশ্বের মানুষের নিরাপত্তার জন্যই প্রাণঘাতী হুমকিতে পরিণত হয়েছে এই ভাইরাস। ২৯ মার্চ পর্যন্ত এই ভাইরাস বিশ্বের ১৯৯টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এর সংক্রমণ ঠেকাতে প্রতিটি দেশই এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে। করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সঙ্গে আছি। চিনে যখন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছিল তখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমবেদনা জানিয়ে আমাদের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে চিঠি দিয়েছিলেন। সেই সময় বাংলাদেশের সরকার ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা চিনকে চিকিৎসা সংক্রান্ত সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তাও করেছে। তাই এখন বাংলাদেশকে করোনা মোকাবিলায় ৪০ হাজার ৫০০ টেস্ট কিট, ১৫ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক, তিন লক্ষ মেডিক্যাল মাস্ক, ১০ হাজার গাউন ও এক হাজার থার্মোমিটার দিয়েছে তারা। এছাড়া চিন দূতাবাস থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চিনের মেডিক্যাল এক্সপার্টদের সঙ্গে বাংলাদেশের মেডিক্যাল এক্সপার্টদের মত বিনিময়েরও ব্যবস্থা করেছে।
ওই চিঠিতে তারা আরও উল্লেখ করেছে, আমরা জানাতে চাই, এই মহামারির সময় ও শেষে বাংলাদেশের প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত করব। করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশের যে কোনও ধরনের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে চিনা দূতাবাস পাশে থাকবে। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভয়াবহ এই সময়ে চিন কেও (WHO) ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছে। এছাড়া বিশ্বের ৮৯টি দেশকে মেডিক্যাল সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.