Advertisement
Advertisement
Celebrity Durga Puja

‘আমি এখনও পুজোটা ছোটবেলার মতো করেই কাটাই’, এই শারদীয়ায় কী প্ল্যান অভিনেত্রী রূপসার?

Rupsa Chatterjee: এই বছর পুজোর কী প্ল্যান রূপসার?

Celebrity Durga Puja plan 2025 of Rupsa Chatterjee
Published by: Arani Bhattacharya
  • Posted:September 4, 2025 6:37 pm
  • Updated:September 5, 2025 5:01 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত অক্টোবরে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন অভিনেত্রী রূপসা চট্টোপাধ্যায়। আর বছর ঘুরে পুজো আসছে যখন তখন সেই পুজোতেই বিয়ের এক বছরের জন্মদিন। কোলে এসেছে একরত্তি সন্তান। অভিনেত্রীর জীবনটাই যেন বদলে গিয়েছে। এই বছর পুজোর কী প্ল্যান রূপসার (Rupsa Chatterjee) তা জানতেই সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল যোগাযোগ করেছিল অভিনেত্রীর সঙ্গে। ফোনের ওপার থেকে পুজো প্ল্যান ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী।

Advertisement

রূপসার এবছর পুজোর কী প্ল্যান জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমার ছেলের এটা প্রথম পুজো। একইসঙ্গে পুজোতেই আমার প্রথম বিবাহ।বার্ষিকী। একাদশীতেই আমার বিয়ের প্রথম জন্মদিন। কাজেই সেই উদযাপন ও সঙ্গে ছেলের প্রথম পুজো সব মিলিয়েই একটা বড়সড় সেলিব্রেশানের প্ল্যান রয়েছেই। এছাড়াও বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ উদ্বোধনের কথা রয়েছে। সুতরাং পুজোয় কাজও থাকছে।

ছেলের সঙ্গে প্রথম পুজোয় নিজের ছোটবেলার পুজোর নস্ট্যালজিয়ায় কতটা বুঁদ হচ্ছেন রূপসা? এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “আমার আলাদা করে ছোটবেলার পুজোর কোনও নস্টালজিয়া অনুভব হয় না। কারণ আমি এখনও পুজোটা ছোটবেলার মতো করেই কাটাই। মাঝখানে শুটিংয়ের ভীষণ চাপ থাকতো সারা বছর। তাই পুজোর ছুটিতে বাইরে বেড়াতে যেতাম। তবে সায়নের সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর থেকে গত তিন বছর কোথাও বেড়াতে যাই না আর পুজোতে। কারণ ও কলকাতায় দুর্গাপুজোটা কাটাতে ভীষণ ভালোবাসে। এছাড়াও উত্তর কলকাতায় আমার মামা বাড়ি সেই বাড়িতে দেড়শো বছরের পুজো। আমার পুজোর প্রায় দুটো দিন সেখানেই কাটে। সঙ্গে গত বছর থেকে যোগ হয়েছে শ্বশুরবাড়ির পাড়ার পুজো। যা বাড়ির পুজোর থেকে কোনও অংশে কম নয়। সেখানেও বেশ অনেকটা সময় কাটে। দুই বাড়ির পুজোর মধ্যেই আমার বেশি সময়টা কেটে যায়, খুব বেশি বাইরে প্যান্ডেলে ঘুরতে যাই না।

Rupsa Chatterjee

পুজোর খাওয়াদাওয়া নিয়ে কী প্ল্যান থাকে প্রতিবছর তাও জানালেন। বললেন, “পুজো মানেই পূজোর ভোগ মাস্ট। অষ্টমীতে ভোগ খেতেই হবে। যেহেতু মামার বাড়ির পুজো সেখানে অষ্টমীর ভোগটা ভীষণ স্পেশাল হয় প্রতিবছর। অষ্টমীর ভোগ আমিই সব পরিবেশন করি। আমাদের পুজোর চার দিনই একেবারে নিরামিষ খাওয়া দাওয়া হয়। ঠাকুর বিসর্জনের পর আমাদের আমিষ খাওয়া হয় একই সঙ্গে আমাদের ধুনো পোড়ানোর নিয়মও আছে।

এছাড়াও দশমী এবং একাদশীতে সিঁদুর খেলাও মাস্ট। শ্বশুরবাড়ির পাড়ায় এবং আমার বাড়ির পাড়ার পুজোয় দশমী ও একাদশী সিঁদুর খেলতে যাই। তবে সপ্তমীটা সায়নদীপের জন্য তোলা থাকে। সপ্তমী আমি শুধুমাত্র ওর সঙ্গেই কাটাই। এই দিনটা শুধুই ওর জন্য। নবমীর সন্ধ্যা কাটে আমার কমপ্লেক্সের পুজোয়। সেখানে ডান্ডিয়া নাচ থাকে, সেটায় পারফর্ম করে থাকি। মায়েরা এই নিয়ম পালন করে থাকে পুজো মানে শপিং করতেই হবে তবে আমি তো সারা বছরই শপিং করি তাই আলাদা করে পুজোর শপিং কিছু নেই। এমনকি বিয়েতে পাওয়া অনেক জিনিস একেবারে নতুন রয়েছে, তাই একেবারে শপিং করার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু যেহেতু নিয়ম তাই কিছু তো কিনতেই হবে। তবে জুনিয়ারের জামা ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে অনেকগুলো। প্রায় সাতখানা জামা হয়েছে আরও হবে। তবে পুজোর সময় রঙমিলান্তি পোশাকে সাজবো কিনা জানি না। কারণ আমাদের রংমিলান্তি পোশাকে সেজে ওঠাটা শেষ মুহূর্তেই হয়। যখন ঠিক কী পরব সেই নিয়ে সত্যিই কোনও প্ল্যান থাকে না।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement