Advertisement
Advertisement
Probashe Durga Puja

নারী-পুরুষ উভয়ের পৌরোহিত্যে পূজিত হন দেবী, পঞ্চম বর্ষে বেলজিয়ামের এই পুজো

ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ দুর্গাপ্রতিমা পূজিত হয় এই পুজোতেই।

Probashe Durga Puja: Durga Puja preparation in Brussels, Belgium
Published by: Subhodeep Mullick
  • Posted:September 16, 2025 7:40 pm
  • Updated:September 16, 2025 7:41 pm   

সুমনা দে মল্লিক, ব্রাসেলস, বেলজিয়াম: এসেছে শরৎ। বৃষ্টির মধ্যেও আকাশ কখনও কখনও পরিষ্কার থাকলে উঁকি দিচ্ছে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ। আর বাতাসে উৎসবের আমেজ। হোক না বিদেশ বিভুঁই, সব বাঙালির মতো সুদূর বেলজিয়ামের ব্রাসেলসের বাঙালিরাও ফুটতে শুরু করেছেন শারদোৎসবের আনন্দে।

Advertisement

ব্রাসেলসের প্রবাসী বাঙালি কমিউনিটি ‘তেরো পার্বণ’-এর পুজো এবার পঞ্চম বর্ষে পড়ল। বিদেশের অন্য অনেক পুজোর মতো এখানে তিথির আগে বা পরে সকলের সুযোগ সুবিধা অনুযায়ী সপ্তাহান্তে পুজো হয় না। পুজো এখানে হয় ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমীর রীতি মেনেই। অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে। ‘তেরো পার্বণ’-এর এই পুজোর আরও একটি বৈশিষ্ট্য হল – এখানে নারী-পুরুষ উভয়ই পৌরোহিত্য করেন। বর্ণ-লিঙ্গের কোনও বৈষম্য নেই।

বিখ্যাত মৃৎশিল্পী সনাতন পালের তৈরি প্রতিমা প্রতি বছরই এই পূজার অন্যতম আকর্ষণ। ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ এই দুর্গাপ্রতিমার উচ্চতা প্রায় ৯ ফুট। পুজোয় যাতে কোনওরকম ফাঁক না থাকে, সেজন্য প্রত্যেকেই খুব যত্নশীল। এবার এই পুজো যেহেতু পাঁচ-এ পড়েছে, তাই সকলের উন্মাদনাও তুঙ্গে। এবছর বিশেষ এই মুহূর্ত চিরস্মরণীয় করে রাখতে কলকাতা থেকে আসছে অতিপরিচিত নস্টালজিয়ায় ভরপুর ক্যাকটাস ব্যান্ড। তাই এবার মণ্ডপসজ্জাতেও রয়েছে বাংলা ব্যান্ডের ছোঁয়া। পুজো সংক্রান্ত একাধিক কাজ নিয়ে অত্যন্ত ব্যস্ততার সঙ্গে এখন দিন কাটছে ‘তেরো পার্বণ’ পরিবারের সদস্যদের।

প্রতি বছরের মতো এবারও আয়োজন করা হবে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। ‘তেরো পার্বণ’-এর মূল উদ্দেশ্য হল বাঙালিয়ানা, বাঙালি সংস্কৃতি ও সাহিত্যকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা। বাঙালি মানেই যেমন দুর্গাপুজো, তেমনই দুর্গাপুজো মানেই পেটভরে ভোগ খাওয়া। তাই পুজোর বিভিন্ন দিনে মহিলারা ভোর থেকে উঠে বিভিন্ন রকম ভোগের আয়োজন করেন।কারণ, বাঙালির পুজোর অন্যতম প্রধান অঙ্গই হল পেটপুজো। তাই বিদেশে আছি বলে যে বাঙালি খাবার খাওয়া হবে না, সেটা হতে পারে না। তাই পুজোর চার দিন দু’বেলাই থাকবে বাঙালি খাবারের সমারোহ। ফুলকো লুচি যেমন থাকবে তেমনই থাকবে খিচুড়ি। অন্যদিকে, ফুচকা, চপ, মোমো ইত্যাদি খাবারেরও ব্যবস্থাও থাকবে। আর থাকবে পুজোর চার দিন দেদার আনন্দ ও আড্ডা, যা সারা বছরের রসদ।

কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন মণ্ডপে ঘুরে ঘুরে যাঁরা ঠাকুর দেখতে অভ্যস্ত, সুদূর ব্রাসেলসে বসেই তাঁদের সামনে সেই পরিবেশ উপস্থাপন করতে ‘তেরো পার্বণ’-এর প্রতিটি সদস্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ