অরণী ভট্টাচার্য: রবিবার ছুটির দিনে বাঙালির তেরো পার্বণের অন্যতম পার্বণ জামাইষষ্ঠী। টলিপাড়ার খাদ্যরসিক তারকা জামাই বিশ্বনাথ বসুর জামাইষষ্ঠীতে কী করছেন, সেদিকে অনুরাগীদের প্রতিবারই নজর থাকে। অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি তিনি পুরোদস্তুর ‘ফ্যামিলি ম্যান’ও। তাই পরিবার ও মূল্যবোধের অর্থ তাঁর কাছে সমানুপাতিক। বিশ্বনাথের কাছে সব পার্বণের অর্থ হল আরও বেঁধে বেঁধে থাকা। এবারের জামাইষষ্ঠী নিয়ে কী প্ল্যান অভিনেতার তা জানতেই সরাসরি যোগাযোগ করেছিল ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’। সুদূর ইটালি থেকে ফোনেই জানালেন এই বছরের জামাইষষ্ঠীর প্ল্যান।
অভিনেতা বলেন, “এই বছরে আমরা বেড়াতে এসেছি। ছেলেদের ছুটি পড়েছে, একইসঙ্গে ছোট ছেলের আজ (৩১ মে) জন্মদিন। সব মিলিয়ে ছুটি কাটাতে এসেছি ইটালিতে। যেহেতু এবছর দেশের বাইরে তাই এবারের জামাইষষ্ঠী পালন হবে না। আমার কাছে এটা একটা বড় মিস। আমাদের বাঙালি জীবনে আমরা তো সব নিয়মকানুন ও সম্পর্কগুলি ভীষণভাবে লালন করি। এগুলোই রিফ্রেশ হওয়ার মতো বিষয়। ভাইফোঁটা, জামাইষষ্ঠী এছাড়াও আরও অনেক অনুষ্ঠান রয়েছে। সবেতেই বাড়ির মহিলাদের আয়োজন করার মতো বড় একটা বিষয় জড়িয়ে থাকে। তাই সবমিলিয়ে এই পার্বণগুলোতে যেন সত্যিই রিফ্রেশ বাটন আছে।” এরপরই যোগ করেন, “এই জামাইষষ্ঠীর দিনটা আমার কাছে খুবই স্পেশাল। প্রতিবছর জামাইষষ্ঠীতে শ্বশুরবাড়ি যাওয়া। নিজেকে আবারও ঝালিয়ে নেওয়া আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এবারে সেটা হল না। আমি এবারে থাকতে পারলাম না। তবে হ্যাঁ, সামনের বছর অবশ্যই হবে। কিন্তু, কলকাতা ফিরে উপহার দেওয়া নেওয়া ও কব্জি ডুবিয়ে খাওয়াদাওয়ার প্ল্যান অবশ্যই রয়েছে জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে। আমরা ফিরে গিয়ে সেটা পালন করব। কলকাতায় ফিরে কাজের চাপ বুঝে একদিন প্ল্যান করব। সারাদিনের সমস্ত কাজ সেরে রাত্রে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন হবে। বরাবরের মতো আমার পছন্দের পোশাক পাঞ্জাবিতেই সেজে যাব পোস্ট জামাইষষ্ঠীর সেলিব্রেশনে।”
খাদ্যরসিক বিশ্বনাথ বসুর জামাইষষ্ঠীর ভূরিভোজের স্পেশাল পদ কী? অভিনেতা জানালেন, “জামাইষষ্ঠীর আয়োজনে পটলের দোলমা মাস্ট। চিংড়ি মাছ দিয়ে পটলের দোলমা জামাইষষ্ঠীতে থাকবেই থাকবে। এটা আমার ভীষণ প্রিয়। শাশুড়িমা প্রতিবছর এটা বানান। তার সঙ্গে থাকবে নানা রকমের মিষ্টি। আমি তো মিষ্টি খেতে খুবই ভালোবাসি। মিষ্টির মতো আর কিছু হতে পারে না। এই এখন যেমন কথা বলতে বলতেই মিষ্টি খেতে ইচ্ছা করছে বিদেশে বেড়াতে এসেও। তবে হ্যাঁ, এই সময় সমস্ত মিষ্টির সঙ্গে দইটা চাই-ই চাই। সব মিষ্টির সঙ্গে দই থাকবেই।
কী উপহার আদানপ্রদান হবে এবছর জামাইষষ্ঠীতে? “এবছর উপহার যাবে বিদেশ থেকেই। যেহেতু জামাইষষ্ঠীর আগে বিদেশে এসেছি তাই এখান থেকেই কিনব। তবে এই প্রথম নয় এর আগেও একবার বিদেশ থেকেই উপহার নিয়ে গিয়েছিলাম জামাইষষ্ঠীতে। জামাইষষ্ঠীর দিন না হলেও পোস্ট জামাইষষ্ঠী সেলিব্রেশনে এই বছরও এক্কেবারে জামাই সাজে মিষ্টির হাঁড়ি হাতেই শ্বশুরবাড়ি যাব। তবে সবটাই হবে কলকাতায় ফিরে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.