সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুধু অভিনেতা-পরিচালকের সম্পর্ক ছিল না। ঋতুপর্ণ ঘোষ (Rituparno Ghosh) ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Prosenjit Chatterjee) ‘ফ্রেন্ড, ফিলোজফার অ্যান্ড গাইড’। আজও প্রিয় ঋতুর অকালে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারেননি টলিউড তারকা। বন্ধুর জন্মদিনে লিখলেন আবেগঘন চিঠি।
এমনিতে নিজের আবেগ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন না প্রসেনজিৎ। তবে ঋতুপর্ণ ঘোষের জন্মদিনে নানা স্মৃতি যেন ভিড় জমায় তাঁর মনে। তাই প্রিয় বন্ধুর জন্মদিনে তাঁর উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখলেন অভিনেতা। চিঠিতে প্রসেনজিৎ লিখেছেন,
“প্রিয় ঋতু
তুই তো জানিসই সেভাবে কাউকে চিঠি লেখা হয়ে ওঠেনি আমার। তোর মতন ভাল লিখতেও পারি না। তবু আজকের দিনে চেষ্টা করলাম একটু। ভুল হলে রাগ করিস না কিন্তু!
তোর সৃজনশীলতার র ঙে তুই অনন্যভাবে রাঙিয়েছিলি চলচ্চিত্র জগৎকে এবং অবশ্যই তোর সমস্ত সৃষ্টিকে। আর আমার জীবনে তোর যে অবদান তা কয়েকটা শব্দে বোঝানো সম্ভব নয়… কিন্তু বন্ধু, তুই তো জানিসই, বুঝিস তুই।
আজকের মেনুটা কী? আলু-পোস্ত থাকছে তো? আর নতুন স্ক্রিপ্টটা কতদূর? শেষ হলেই শোনাস কিন্তু! অপেক্ষায় থাকব। ভাল থাকিস। শুভ জন্মদিন।”
শুভ জন্মদিন ঋতু।
— Prosenjit Chatterjee (@prosenjitbumba)
মাত্র ৪৯ বছর বয়সে ঋতুপর্ণ ঘোষের চলে যাওয়া আজও মেনে নিতে পারেননি টলিউডের কলাকুশলীরা। ভুলতে পারেননি সাধারণ মানুষরাও। দল বেঁধে তাঁর ছবি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে যেতেন দর্শকরা। আজও ‘উনিশে এপ্রিল’, ‘উৎসব’, ‘দোসর’, ‘চোখের বালি’, ‘বাড়িওয়ালি’র মতো অসংখ্য ছবি তাদের নিত্যসঙ্গী।
সিনেমা জগতে আসার আগে বিজ্ঞাপনের কপি রাইটার ছিলেন ঋতুপর্ণ। লিখেছিলেন অসামান্য সব ক্যাচলাইন। তারই অন্যতম ছিল বোরোলিনকে নিয়ে লেখা ‘বঙ্গজীবনের অঙ্গ’ শব্দবন্ধটি। ঋতুপর্ণ ঘোষের সৃষ্টিও বাঙালি মনন ও কৃষ্টির অঙ্গ হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। বঙ্গজীবনের অঙ্গ হয়েই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.