সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোর আবহে নবমীর দিনই পাহাড়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন অভিনেত্রী মানসী সেনগুপ্ত। দুই সন্তান আর বোনদের সঙ্গে দিন কয়েক দার্জিলিংয়ে কাটানোর মুহূর্ত ভাগ করে নিয়েছিলেন তিনি। তবে রবিবার অভিনেত্রীর ক্যামেরায় ধরা পড়ল ভয়াবহ পাহাড়ি রাস্তা। প্রবল বৃষ্টিতে চতুর্দিক যেন লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। কর্দমাক্ত রাস্তায় আটকে যাচ্ছে গাড়ির চাকা। এমতাবস্থায় যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটা অস্বাভাবিক নয়! এমন কঠিন পরিস্থিতিই ধরা পড়ল মানসীর শেয়ার করা ভিডিওতে।
উত্তরবঙ্গের দুর্যোগ পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। সোমবার সকালে রোদ ঝলমলে ঘুমন্ত বুদ্ধ উঁকি দিয়েছে মেঘের আড়াল সরিয়ে। তবে প্রকৃতি হাসলেও চারপাশ জুড়ে এখনও ছড়িয়ে রয়েছে দুর্যোগের ছাপ। কোথাও নেমেছে ধস, আবার কোথাও বা রাস্তা ভেঙে চুরমার। ফলে আটকে পড়েন বহু পর্যটক। যদিও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। মানসীর পোস্ট করা ভিডিওতেও ধরা পড়ল সেই দৃশ্য! দুর্যোগের থাবায় তছনছ হয়ে যাওয়া রাস্তা থেকে গাছের ডালপালা সরাতে ব্যস্ত স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু সেই রাস্তা সারাতে দীর্ঘক্ষণ সময় লাগবে, তেমন উদ্বেগের সুরও শোনা গেল মানসীর কণ্ঠে।
সপরিবারে দার্জিলিংয়ে এয়ার বিএনবি’র এক স্টেকেশনে ছিলেন মানসী সেনগুপ্ত। সেখান থেকেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। তবে একাধিক রাস্তায় ধস নামায় আটকে গিয়ে প্ল্যানবদল করতে হয়! ভিডিওতে মানসীকে বলতে শোনা যায়, “আমরা কার্শিয়াং থেকে তাকদা যাচ্ছি। আমি জীবনে এত বৃষ্টি দেখিনি। কাল থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, সেটাতে অসুবিধা নেই শীতের জায়গা। তবে তাকদা যাওয়ার পথে গত এক ঘণ্টা ধরে আটকে রয়েছি। রাস্তা পরিষ্কার হয়ে কখন পৌঁছব ঠিক নেই।” মানসীর দুই সন্তান খুবই ছোট। স্বামীকে ছাড়া একাই সামলান তাঁদের। এই কঠিন সময়ে সাহস জোগাতে ব্যাগ থেকে জগন্নাথ দেবকে বের করেন মানসীর বোন। অভিনেত্রীর এহেন ভিডিও দেখে উদ্বিগ্ন অনুরাগীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.