Advertisement
Advertisement
Ankush Hazra

‘মুনির আলম এমন অনেক কথা বলে, যা বর্তমানে প্রাসঙ্গিক’, ‘খল’নায়ক অঙ্কুশ কোন চ্যালেঞ্জের কথা শোনালেন?

শুটিংয়েও নুসরতের সঙ্গে কথা বলেননি! তবে 'অর্ডার ছাড়া বর্ডার ক্রস' তৈরির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিলেন অঙ্কুশ।

Ankush Hazra shares Raktabeej 2 experience
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:September 5, 2025 1:06 pm
  • Updated:September 5, 2025 3:59 pm   

‘রক্তবীজ ২’ নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী অঙ্কুশ। শুনলেন শম্পালী মৌলিক। 

Advertisement

‘রক্তবীজ-এ আপনার গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স ছিল। সেখান থেকে ‘রক্তবীজ টু’-তে পূর্ণাঙ্গ চরিত্রে। মুনির আলম-এর ফিরে আসাটা কেমন?
– খুবই ইন্টারেস্টিং। এটাকে ডেস্টিনি বলা যায়। সত্যিই সাধারণ গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স থেকে শুরু হয়েছিল। সেখানে আমি শিবুদাকে একটা কথাই বলেছিলাম, ‘গোবিন্দ দাঁত মাজে না’-টা করব আবদার করেছিলাম। এটা তো সাসপেন্স থ্রিলার, গানটা যে সময় আসছে, যদি এই ছেলেটা নাচতে নাচতে, এমন কোনও ক্লু বেরয় একটু দেখো। তখন শিবুদা বলেছিল, ঠিক আছে দেখছি। তারপর ফোন করে ক্লাইম্যাক্সটা শোনায়। আমি অবাক হয়েছিলাম, যে আমাকে ফিল্মের অংশ করে নেওয়া হচ্ছে। তখন বলেছিল, সিনেমা বেরোক, ভালো চললে দেখা যাবে। ছবি ব্লকবাস্টার হলে সিকুয়েলের কথা ভাববে। বাকিটা সকলে জানেন। আমি ভাবিনি দু’বছরের মধ্যে ওরা ‘রক্তবীজ-টু’-এর চিত্রনাট্য তৈরি করে ফেলবে! এই রিসার্চেই লোকের দু-তিন বছর লেগে যায়।

এই ছবিতে তাবড় অভিনেতারা রয়েছেন। ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়, সীমা বিশ্বাস, অনসূয়া মজুমদার, আবির, মিমি- আরও অনেকে। চোখে পড়ার জন্য আপনাকে কতটা এফর্ট দিতে হয়েছে?
– না, না জীবনে ওই এফর্ট দিইনি। ‘জুলফিকার’-এও দিইনি, এখানেও দিইনি। এফর্টের চেয়েও বড় কথা, আমি আমার চরিত্রটা বুঝেছি, চরিত্রটার যেমন যেমন দরকার সেটাই করেছি। যেখানে একদম চুপ থেকে, ডেড লুক দরকার সেটাই করেছি। ‘মুনির’-এর চরিত্রের একটা অন্য ক্যারিশমা আছে। যত কম বলবে, কম ছটফট করবে, এর ইমপ্যাক্ট তত বেশি। এফর্টলেস হলেই ‘মুনির আলম’ বেরিয়ে আসবে।

মুনিরের সংলাপ বার বার শোনা যাচ্ছে, টিজারে। চরিত্রের প্রস্তুতির জন্য আলাদা কিছু করেছিলেন?
– খুব শক্ত ছিল প্রস্তুতি। দুটো জিনিস হয়, একটা হল চরিত্রটাকে বিশ্বাস করো বা কোরো না। বাস্তবে যদি তুমি ওইরকম না হও, অনুশীলন করে সাজতে হয়। বাস্তবের সঙ্গে মিললে সহজ হয়। এটার সঙ্গে তো আমার কোনও মিল নেই। তবে কিছুটা বিশ্বাস করি, কিছুটা করি না। সব থেকে চ্যালেঞ্জিং লেগেছে এই চরিত্রটা করতে। ওর কিছুটা আমি চাইলেও বিশ্বাস করতে পারি না। বাকি সিনেমার জন্য সারপ্রাইজ থাক। মুনির আলম এমন অনেক কথা বলে, যা এখনকার দিনে খুব প্রাসঙ্গিক। কিন্তু চেয়েও তাকে সমর্থন করা যায় না।

কৌশানীর সঙ্গে আপনার রোমান্টিক গানটা এসেছে সদ্য। থাইল্যান্ডে শুটিং। কেমন জমল ওঁর সঙ্গে?
– কৌশানীর সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব-রসায়ন অনেক গভীর। আমাদের একসঙ্গে রিলিজড ফিল্ম একটাই ‘কেলোর কীর্তি’। কম কাজ হলেও ব্যক্তিগত সম্পর্ক আমাদের খুব ভালো। তাই এই গানে আমাদের রসায়নটা দারুণ লাগছে, রিফ্রেশিং লাগছে। সাসপেন্স স্টোরির মধ্যে এই গানটা, মুনির আলমের এই রূপ নিয়ে কৌতূহল জাগিয়েছে। নন্দিতাদি-শিবুদার দর্শক খুব গল্পকেন্দ্রিক ছবি দেখতে ভালোবাসে। এই গান আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছে।

Ankush, Koushani Mukherjee's Raktabeej 2 song has a big twist

দেব টিজার দেখে আপনার প্রশংসা করেছে। আর কেউ?
– সবাই প্রশংসা করেছে। শুভশ্রী, যশ, সোহমও জানিয়েছে। ইনফ্যাক্ট আরও অনেকেই। সাধারণ দর্শক বা বন্ধুদের একটাই বক্তব্য, ‘রক্তবীজ-টু’ প্রচুর প্রশ্ন ছুড়ছে। এখনকার যুগে বলব, এটা অন্যতম প্রাসঙ্গিক ছবি।

নুসরতের ‘অর্ডার ছাড়া বর্ডার ক্রস’ দেখেছেন?
– হ্যাঁ, দেখেছি। শেয়ারও করেছি। ইটস আ ভেরি পেপি সং। গানটার জার্নিটা আমি জানি। আমাদের যে কোরিওগ্রাফার, সে মাত্র ছ’ঘণ্টা সময় পেয়েছিল এই গানটা শুট করার। যে ভাবে এক্সিকিউট করেছে, আমেজিং!

নুসরতের ডান্স নাম্বারের প্রশংসা করছেন। কিন্তু সকলেই জানেন, আপনাদের মধ্যে কথাবার্তা নেই। অনেকটা দূরত্ব।
– সেটা আলাদা বিষয় (হাসি)। কাজটা তো কাজই। ‘রক্তবীজ টু’ সংক্রান্ত যা কিছু সেটা আমাদের সকলের খুব কাছের। তাই কার গান ভাবব কেন! এটা আমাদের সকলের ছবি।

নুসরতের সঙ্গে শুটিংয়ে কথা হয়েছে?
– না, না। (হাসি)

‘কুরবান’-এর সময় থেকে সে অর্থে আপনার হিট নেই বলে কি চিন্তা হচ্ছে? যদিও ‘কিলবিল সোসাইটি’-তে আপনার গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স ছিল।
– চিন্তা আমি কোনওদিন করিনি। বক্স অফিসে ঠিক মতো ফিগার না আসা নিয়ে চিন্তা তখন হবে, যখন তুমি ক্লু-লেস। যে এটা কেন হল? দর্শক কি নিচ্ছে না? যে ছবিগুলো ব্যর্থ হয়েছে, আমি তার কারণ জানি। তাই টেনশন নেই। কাউকে দোষ দিচ্ছি না। কিন্তু কারণগুলো খুব ভ্যালিড। জানি দর্শক কেন নেয়নি, আমি বলব, তাদের সিদ্ধান্ত একদম ঠিক। ক্লু-লেস হলে চিন্তা থাকত।

আগামী দিনে আবার নিজের ছবি প্রযোজনার দিকে এগোবেন?
– একদম। করছিও। পরের বছর জানুয়ারিতে রিলিজ করবে, ‘নারী চরিত্র বেজায় জটিল’।

পুজোর আগে বেআইনি বেটিং অ্যাপ সংক্রান্ত মামলায় ইডি-র সমন। এই অ্যাপগুলোর হয়ে প্রচার করার বিনিময়ে আপনি আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন বলে অভিযোগ।
– ওরকম ব্যাপার নয়, আন্ডার সাব জুডিস বলে আমার কিছু বলা উচিত নয়। আমি বিজ্ঞাপন করেছি, রেমুনারেশন পেয়েছি। অনেক ভুল ইনফরমেশন বাইরে দেখাচ্ছে। এমন অনেক বিজ্ঞাপন আসে, যেটা আমাদের করতে হয়। প্রত্যেক কোম্পানির বিষয়ে সবটা খোঁজ নেওয়া তো খুব শক্ত।

আপনাকে হাজিরা দিতে হবে?
– এখনও সেটা বলতে পারছি না, ইট টু আর্লি টু সে। যদি কোনও সহযোগিতা লাগে আমি টু হান্ড্রেড পার্সেন্ট আছি। আমার লুকানোর কিছু নেই।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ