সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মল্লিকা বন্দ্যপাধ্যায়ের বাড়ির কালীপুজোয় প্রতি বছর থাকে এলাহি আয়োজন। এই বছরও সাড়ম্বরে এই পুজোর সমস্ত আয়োজন করছেন অভিনেত্রী ও তাঁর পরিবার। এই বছর তাঁর বাড়ির কালীপুজোর ঊনসত্তর বছর। এবারের পুজোয় কীভাবে সবটা আয়োজন করছেন কাজের ব্যস্ততার মাঝে মল্লিকা ও তাঁর পরিবার তা জানতেই সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে। ফোনের ওপার থেকে অভিনেত্রী বলেন, “প্রতি বছরের মতোই এবছর প্রথা মেনে সমস্ত আয়োজন হচ্ছে। আমরা যেহেতু এপার বাংলার তাই আমাদের কালীপুজোর আগে লক্ষ্মীপুজো হয়। এদিন পুজোর সমস্ত ভোগ দেওয়া হবে। রাত্রে সবাই মিলে আনন্দ করার মতো বিষয় তো থাকেই সঙ্গে থাকে ধুনুচি নাচ। এছাড়াও এদিন পুজোয় প্রায় ষোলো থেকে সতেরো রকমের ভোগ থাকে। এরপরের দিন আমাদের বাড়িতে আত্মীয়-বন্ধু সকলকে নিয়ে দুপুরে ভোজের আয়োজন থাকে। এদিন দুপুরের খাবারে মাটন-ভাত মাস্ট। এছাড়াও এদিন আমরা নিজেরা খাওয়াদাওয়া করার পাশপাশি নরনারায়ণ সেবা করি। তাতে থাকে লুচি, খিচুড়ি, মিষ্টির মতো নানা পদ।”
বিয়ের পর স্বামী রুদ্রজিতের সঙ্গে এটিই প্রথম কালীপুজো অভিনেত্রীর। এই নিয়ে বলতে গিয়ে মল্লিকা বলেন, “রুদ্রজিতের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর এটা আমাদের প্রথম কালীপুজো। আমি খুবই উচ্ছ্বসিত। তবে শুধু আমি নই আমার যাঁরা শুভাকাঙ্ক্ষী তাঁরা আমাকে যুগলে দেখতে ভালোবাসেন তাঁরাও আমাদের নিয়ে সমানভাবে উচ্ছ্বসিত। এবছর কালীপুজোয় আমাদের দু’জনের বাড়ির সদস্যরাই থাকবেন। এটা একটা আলাদা অনুভূতি আমাদের জন্য। আমি, রুদ্রজিৎ, গরিমা, আমার দুই বোন এবং পরিবারের সকলে মিলে পুজোর আয়োজন করছি। এই সময়টা আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন আমাদের বেলুড়ের বাড়িতে ফিরে যাই। সকলে সেখানে একসঙ্গে হয়ে হইচই করে তিনটে দিন কেটে যায়। আমার ছোট বোন মালবিকাও ফিরছে মুম্বই থেকে কালীপুজোর সময়। এই বছরটা মালবিকার জন্যও ভীষণ স্পেশাল কারণ ও এবছর মুম্বইতে প্রকাশ ঝাঁ-এর সঙ্গে নতুন ছবিতে অভিনয় করছে। সঙ্গে রুদ্রজিতের পরিচালনায় নতুন ছবি কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে বেঙ্গলি প্যানোরমাতে মনোনীত হয়েছে। তাই সেদিক থেকে বলা যায় আমাদের জীবনে এই বছর দীপাবলি কার্যত আলো এবং শক্তি সবটা নিয়েই এসেছে।”
বাড়ির পুজোয় মা কালীকে সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি নিজেও সুন্দর সাবেকি সাজে সেজে ওঠেন অভিনেত্রী। এই বছর পুজোয় সেই সাজ কেমন হতে চলেছে তা নিয়ে মল্লিকা বলেন, “আমাদের মা কালী এমনিতেই খুব সুন্দর। প্রতিবছর আমরা মাকে নতুন বেনারসী ও সাবেকি গয়নায় সাজব। সঙ্গে নিজেও সাজব। আমি গয়না পরতে খুবই ভালোবাসি। তবে সবথেকে যেটা ভালবাসি তা হল সমস্ত সাজের সঙ্গে শাঁখাপলা পরতে। বিশেষ করে পুজোর দিনগুলোতে। তবে বিগত সাত-আট বছর আমার জীবনে এমন কিছু পরিবর্তন এসেছিল যে আমি সাজলেও শাঁখাপলা পরতে পারতাম না। আর তা পরার কথাও ছিল না। আজ বহুবছর পর আমি সেই ইচ্ছাপূরণ করব। আমি এদিন যে সাজই সাজব তারসঙ্গে হাতে শাঁখাপলা পরব। আর তা ছাড়া যেহেতু আমার বিয়ের এক বছর এখনও সম্পূর্ণ হয়নি তাই শাঁখাপলা হাত থেকে খুলিনি। যদিও ধারাবাহিকে চরিত্রের স্বার্থে আমাকে শুটিংয়ের সময়টুকু সেগুলো খুলে রাখতে হয়। প্যাকআপ হয়ে গেলে আবার পরে নিই। এদিন সুন্দর করে সাজের সঙ্গে আমার হাতে শাঁখাপলাও থাকবে”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.