ছবি: ইনস্টাগ্রাম
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জন্মদিনের সকাল থেকেই বেশ ব্যস্ততায় দিন শুরু হয়েছে অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্রের। কিন্তু তাঁর সারাদিন নানা ব্যস্ততা থাকলেও অভিনেত্রীর প্রিয়জনেরা উদযাপনে কোনও খামতি রাখেননি প্রিয়জনেরা। ঘড়ির কাঁটা রাত বারোটা ছুঁতেই স্বামী রাতুল মুখোপাধ্যায় সারপ্রাইজ দিয়েছেন। ছেলে রিয়ান, স্বামী রাতুল ও দুই পোষ্যকে নিয়ে রাতেই এক প্রস্থ জন্মদিনের উদযাপন সেরেছেন রূপাঞ্জনা। সকাল থেকে নানা ব্যস্ততা সামলে মায়ের কাছে জন্মদিনের মধ্যাহ্নভোজ সেরে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন জন্মদিনের বাকি প্ল্যানিং।
একগাল হেসে ফোনের ওপার থেকে রূপাঞ্জনা বলেন, “আজকের দিনটা আপাতত এই মুহূর্তে আমি আমার মায়ের কাছে আদর খেতে এসেছি। আজ দুপুরে মায়ের হাতের ঘরোয়া রান্না খেয়েই ভোজ সেরেছি। আমি যেহেতু সবজি খেতে খুব ভালোবাসি এবং আমাদের আজ পুরোপুরি নিরামিষ তাই মা আজ বানিয়েছিলেন, ভাত, কচু বাটা, কচুর বড়া, আলু-ফুলকপি দিয়ে ছোলার ডাল। মায়ের হাতের সব খাবারই স্বর্গীয় মনে হয়। আর আমার ‘কমফোর্ট ফুড’ ডাল-ভাত মাস্ট। এটা আমার খাবারের তালিকায় থাকতেই হবে। আর এখান থেকে বাড়িতে ফিরে আরও একপ্রস্থ সেলিব্রেশন অপেক্ষা করছে। আমার ইন্ডাস্ট্রির বেশ কিছু বন্ধুবান্ধব আসবে শুটিং শেষে।”
বিয়ের পর জন্মদিনের সেলিব্রেশনে কতটা পরিবর্তন এসেছে? উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, “রাতুল ও আমার জন্মদিনের মধ্যে মাত্র সাতদিনের পার্থক্য। আমরা কখনই কোনও পার্থিব জিনিস দেওয়া নেওয়া করার থেকে দু’জনের সঙ্গে সময় কাটাতে, পরিবারের সকলের সঙ্গে সময় কাটাতেই আমরা পছন্দ করি। আমার জীবনে এগুলোই সেরা উপহার। আমার বিয়ের আগে আর পরে আমার জন্মদিনের সেলিব্রেশনে কোনও পার্থক্য দেখতে পাইনি। আসলে আমরা এমনই একটা পেশায় আছি যেখানে সময় বের করতে পারাটাই বড় বিষয়। সেখান থেকে দু’জনে একটু সময় বের করে বাড়িতেই হোক বা বাইরে একটা ডিনার করতে পারলেই সেটা আমাদের জন্য অনেক বড় বিষয়। আমরা এখনও দু’জনে কোনও সেলেব্রেশনের কথা ভাবতে পারিনি। কারণ এই মুহূর্তে ‘কালরাত্রি ২’ সিরিজের শুটিং চলছে। রাতুলের জন্মদিনেও আমি শুটিং থেকে সময় ম্যানেজ করে এসেছিলাম।”
মায়ের হাতের রান্না ছাড়াও আর কী কী ভূরিভোজের আয়োজন হয়েছে এদিন? রূপাঞ্জনা বলেন, “এদিন রাতে রাতুল সারপ্রাইজ তো দিয়েছেই। ওর দোসর হয়েছিল রিয়ান। দু’জন মিলে পুরো প্ল্যান করেছে। একইসঙ্গে রাতুল এদিন বানিয়েছিল আমার জন্য পমফ্রেট মাছের একটা পদ আর সঙ্গে ছিল মাটনের বিশেষ পদও। রিয়ান বানিয়েছিল চিজ অমলেট। আমি ওদের জন্য বানিয়েছিলাম নান আর কেরালার একটি চিকেনের পদ। রাতুল যতক্ষণ আমার জন্যও রান্না করেছে আমাকে একবারও রান্নাঘরে আসতে দেয়নি। এখন
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.