Advertisement
Advertisement
শেহনাজ গিল

মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বন্ধুর প্রেমিকাকে ধর্ষণ! আটক ‘বিগ বস ১৩’ খ্যাত শেহনাজ গিলের বাবা

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শেহনাজের বাবা সন্তোখ সিং।

Bigg Boss famed Shehnaaz Gill's father booked for rape charges
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:May 23, 2020 5:05 pm
  • Updated:May 23, 2020 5:05 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল শেহনাজ গিলের বাবা সন্তোখ সিংয়ের বিরুদ্ধে। বড়সড় বিতর্কে জড়ালেন ‘বিগ বস ১৩’র প্রতিযোগী শেহনাজ গিলের পরিবার।  সন্তোখের বিরুদ্ধে অভিযোগ, জলন্ধরের এক যুবতীকে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ধর্ষণ করেছেন তিনি। যিনি কিনা তাঁরই বন্ধুর প্রেমিকা। পুলিশ ইতিমধ্যেই আটক করেছেন শেহনাজের বাবা সন্তোখ সিংকে।

ঘটনা মে মাসের ১৪ তারিখের। শেহনাজের বাবা সন্তোখ, যিনি ‘সুখ’ নামেই  পরিচিত, তিনি ওই যুবতীকে নিজের গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে তাকে এর চরম পরিণামের মুখোমুখি হতে হবে বলেও হুমকি দেন তিনি।

ওই যুবতী জানিয়েছেন যে, ১৪ মে তিনি তাঁরই এক বান্ধবীর সঙ্গে জলন্ধর থেকে বিয়াসের দিকে যাচ্ছিলেন লাকি সিন্ধু নামে তাঁদেরই এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু বিয়াসে পৌঁছতেই ঘটে বিপত্তি! বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ সুখ তাঁর গাড়িতে তুলে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। প্রথমে ভয়ে কাউকেই তিনি বিষয়টি জানাননি। কিন্তু পরে বন্ধুরা জানতে পারলে তাঁরাই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দেয় যুবতীকে। এরপরই  ১৯ মে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা করেন তিনি।

[আরও পড়ুন: ‘ভেসে গেল শহর-স্বপ্ন, তোমরা বললে কিছুই হয়নি’, বিধ্বস্ত বাংলা নিয়ে উদাসীনদের বিঁধলেন মিমি]

ঘটনার তদন্ত শুরু করছেন সাব-ইনস্পেক্টর হরপ্রীত সিং। শেহনাজের বাবা সন্তোখ সিংয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৬, ৫০৬ ধারায় বিয়াস থানায় মামলা রুজু হয়েছে। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বৃহস্পতিবার থেকে উত্তাল ছিল সোশ্যাল মিডিয়া। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে সুখ বলেন ‘আমি নির্দোষ’।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়েছিল ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই পলাতক সুখ। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে সুখ জানান, তিনি মোটেই পালিয়ে যাননি। বরং, তাঁর পাঞ্জাবের বাড়িতেই ছিলেন। তিনি আরও বলেন, “যে মহিলা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তিনি বিবাহবিচ্ছিনা এবং তাঁর এক সন্তানও রয়েছে। ও অনেক দিন ধরেই লাকিকে (মহিলার প্রেমিক এবং সুখের বন্ধু) বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিল। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝামেলা হয়। লাকি আমারও বন্ধু। তাই আমি ওঁদের দু’জনকেই বলেছিলাম ব্যাপারটা  নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নিতে। আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগই মিথ্যে।”

[আরও পড়ুন: আমফান বিধ্বস্ত এলাকার মানুষদের পাশে টলিউড, অর্থসাহায্যের আরজি তারকাদের]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement