সন্দীপ্তা ভঞ্জ: সোনাক্ষীর আগামী ছবি ‘নিকিতা রায়’তে রয়েছে নিবিড় বঙ্গ যোগ। হঠাৎ করে এই ছবির সঙ্গে টলিউডের নামি এক ব্যক্তিত্বের নাম জড়িয়েছে। এতকাল টলিউড তাঁর কাজে মুগ্ধ হয়েছে। এবার বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে আরব সাগরের তীরে নিজের কর্মদক্ষতা দেখালেন তিনি। তিনি আর কেউ নন একতা ভট্টাচার্য। টলিউডে তিনি পরিচিত ‘পোস্টার কুইন’ নামেই। তাঁর ডিজাইন করা পোস্টার ছবির গুরুত্ব যেন আরও বাড়িয়ে দেয়। এর আগে বিভিন্ন বাংলা ছবিতে তাঁর ডিজাইন করা একাধিক পোস্টার কলকাতার বুকে প্রশংসা পেয়েছে। এবার পালা চুটিয়ে বলিউডে কাজ করার।
সোনাক্ষী সিনহার ‘নিকিতা রায়’ ছবির পোস্টার ডিজাইন করেছেন ‘বঙ্গকন্যা’ একতা ভট্টাচার্য। তবে এর আগেও বলিউডের বেশ কিছু ছবির পোস্টার ডিজাইন করেছিলেন একতা। তবে সেই ছবিগুলি এখনও মুক্তি পায়নি। সেভাবে বলতে গেলে এই ছবিই প্রথম। ২৭ জুন মুক্তি পাবে ‘নিকিতা রায়’। এই ছবির হাত ধরেই বলিউডে নতুন জার্নি শুরু হল প্রভাতকন্যা একতার। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন, সোনাক্ষী সিনহা, অর্জুন রামপাল, পরেশ রাওয়াল প্রমুখ।
মেয়ে একতার নতুন এই জার্নিতে ঠিক কতটা আনন্দিত তা জানতেই সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের তরফে যোগাযোগ করা হয় বর্ষীয়ান পরিচালক প্রভাত রায়ের সঙ্গে। ফোনের ওপার থেকে মেয়ের সাফল্যে তাঁর বাবির গলায় শোনা গেল আনন্দের সুর। পরিচালক বললেন, “দারুণ অনুভূতি। আমার বিশ্বাস ছিল আমার মেয়ে টলিউডে কেন বলিউডেও নাম করবে। নিজের কাজের জন্য সকলের কাছে প্রশংসা পাবে। নাম, যশ, খ্যাতি অর্জন করবে। ও খুব ভালো কাজ জানে। আগামীতে আরও ভালো কাজ করবে আমার বিশ্বাস। আমার ওকে নিয়ে কোনও দুশ্চিন্তা নেই। ও অনেক দূর যাবে।”
পরিচালক প্রভাত রায় আরও বলেন, “আমার মেয়ে যেটুকু নাম, যশ, খ্যাতি অর্জন করেছে তা নিজের যোগ্যতায় করেছে। ওঁর পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ ছিল না। নিজের কাজ দিয়ে সবকিছু অর্জন করেছে ও। আমার ভালো লাগছে এটাই যে আমি নিজেও মুম্বইতে বহু বছর থেকেছি সেখানে কাজ করেছি। আজ যখন মুম্বইয়ের ছবির পোস্টারে ওঁর ডিজাইন, ওঁর কাজ দেখি খুব ভালো লাগে।”
সম্প্রতি একটি পোস্টে মুম্বইয়ে নিজের নতুন কাজ নিয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন একতা। সেখানেই তিনি লিখেছিলেন, ‘গত তিন বছর ধরে আমি মুম্বইয়ে কাজ করছি। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ছবির জন্য কাজ করেছি পাবলিসিটি ডিজাইনার হিসাবে। সেই ছবিগুলি মুক্তি পেতে সময় লাগেছে কিছুটা। তবে অবশেষে এই ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে। আমাকে একবার অনুপম খের বলেছিলেন যদি তুমি মুম্বইয়ে আসো দেখবে এখানে তুমি কতটা সাফল্য পাবে। তোমাকে এই শহরটা দু’হাত ভরে দেবে। আমি ২০২২ সালে মুম্বই এসেছিলাম। সেটা ছিল জুন মাস। বিমানবন্দরের বাইরে এসে দেখি তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে। আর ১৯৭০ সালে আমার বাবি যখন মুম্বই এসেছিলেন তখনও খুব বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টিই তাঁকে স্বাগত জানিয়েছে। কলকাতা ছাড়া আর যদি কোনও জায়গা থাকে যা আমার স্বপ্নে ভর করতে সাহস জুগিয়েছে তা হল মুম্বই।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.