সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আকাশজুড়ে শরতের ঝলমলে রোজ। মাঝেমধ্যে অসুর হয়ে বৃষ্টির তোড় ধেয়ে আসছে ঠিকই, তবে হাওয়ায় ভাসছে পুজোর গন্ধ। এ মাসেই যে আসছেন দুর্গা। আকাশে-বাতাসে দেবীর আগমন বার্তা। এমন সময়ে মনটা বড় উন্মুখ হয়ে থাকে দুর্গাপুজোর আনন্দে গা ভাসিয়ে দেওয়ার জন্য। মনে পড়ে যায় ছোটবেলা, কলেজবেলার দিনগুলোর কথা। স্মৃতির টানে অতীতের অলিগলি ঘুরে আসা দু-একবার। তবে না, বর্তমানে দাঁড়িয়ে এতটা নস্ট্যালজিক হয়ে পড়াটা মোটেও পছন্দ নয় টলি নায়িকা তথা তারকা বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর কাছে জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্গাপুজো এসেছে ভিন্ন ভিন্ন আবহ নিয়ে। আর সমসময়কে সঙ্গী করে তার প্রতিটিই বেশ উপভোগ করেছেন সায়ন্তিকা। শারদোৎসব উদযাপনের সারমর্ম তাঁর কাছে এমনই। ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’-এ পুজো নিয়ে আড্ডায় মাতলেন তারকা বিধায়ক।
উচ্চতা আর চাবুক ফিগারের জন্য গোড়া থেকেই টলিউড নায়িকাদের মধ্যে বিশেষ নজর কেড়েছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। রুপোলি পর্দার কেরিয়ারের পাশাপাশি বছর খানেক হল তাঁর কাজের ক্ষেত্র বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজ্যের শাসকদলকে ভালোবেসে অনেকদিন ধরেই ‘দিদি’র সঙ্গী সায়ন্তিকা। তাঁর উপর ভরসা রেখে বরানগর বিধানসভায় ভোটের লড়াইয়ে এগিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন টলি নায়িকার পাশাপাশি বরানগরের বিধায়ক হিসেবেও সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উচ্চারিত হয়। বড়পর্দার দর্শকদের পাশাপাশি এখন সায়ন্তিকা বরানগরবাসীরও প্রিয় পাত্রী।
তো এত ব্যস্ততার মাঝে পুজো নিয়ে কী পরিকল্পনা? ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’-এর এই প্রশ্নের জবাবে সায়ন্তিকা জানালেন, তিনি সপ্তমী পর্যন্ত কাজ করেন। বাকি তিনদিন তিনি কাটান একেবারে নিজের মতো, ঘরোয়া পরিবেশে। বন্ধুবান্ধবী, আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটান, ভরপুর উপভোগ করেন দুর্গাপুজোর আনন্দ।
সায়ন্তিকার কথায়, ”পুজোর সময় কলকাতা ছেড়ে বাইরে যেতে কোনওদিন ইচ্ছা হয়নি। এখনও কলকাতাতেই পুজোটা কাটাই। এখন কয়েকবছর ধরে অবশ্য পুজো একটু অন্যভাবে কাটছে আমার। সপ্তমী পর্যন্ত কাজ করলেও আমার এলাকায় (বরানগর) প্রচুর পুজো উদ্বোধন করার থাকে। আমি চেষ্টা করি, সব জায়গায় যাওয়ার। যে পুজো উদ্বোধনে যেতে পারি না, সেখানে চেষ্টা করি পুজোর একটা দিন যাওয়ার। কিছু কিছু পুজোয় পৃষ্ঠপোষক আমি নিজেই। সেখানে তো যেতেই হয়। সকলের মাঝে থেকে পুজো কাটাতে খুব ভালো লাগে।”
ছোটবেলার পুজোর আনন্দ এখন কি কিছুটা ফিকে? সায়ন্তিকা বলছেন, ”না, কিছু ফিকে হয়নি। জীবনের নানা সময়ে পুজোর আনন্দ আমি আলাদা আলাদাভাবে উপভোগ করি। স্কুলজীবনে এক বান্ধবীর বাড়িতে পুজো হতো। সেখানেই সব বন্ধুরা মিলে আনন্দ করতাম। কলেজে আমাদের প্রধান আকর্ষণ ছিল ম্যাডস্ক স্কোয়ার। সেখানে গিয়ে সবাই খুব আড্ডা দিতাম। আর এখন তো মানুষের মাঝে থেকে পুজো উপভোগ করি। এ এক আলাদা আনন্দ! আমি মনে করি, জীবনের নানা পর্যায়ে দুর্গাপুজোর আনন্দটা নানারকম, আমি সেটা ভরপুর উপভোগ করি।” সায়ন্তিকাকে আমাদের তরফে শারদীয়ার অফুরান শুভেচ্ছা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.