Advertisement
Advertisement
Celebrity Der Durga Puja

‘নবমীতে সপরিবারে রিকশা চড়ে ঠাকুর দেখতে বেরতাম’, শারদ স্মৃতিতে ডুব মিমির

স্মৃতির সরণি বেয়ে পুজো-নস্ট্যালজিক অভিনেত্রী।

Celebrity Der Durga Puja: Mimi Chakraborty shares Durga Puja plans
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:September 12, 2025 5:15 pm
  • Updated:September 16, 2025 5:40 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের দিনগুলি কি তারকাদের নিয়ম ভাঙার টিকিট নাকি পুজো রিলিজের জন্য বাড়তি ব্যস্ততা? মিমি চক্রবর্তীর কাছে অবশ্য পুজোর সংজ্ঞা ভিন্ন। সাবেকি সাজ। বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে নিখাদ ঘরোয়া আড্ডা আর একটু মিষ্টিমুখ করা!

Advertisement

বাংলা সিনেমার ইতিহাসে প্রথমবার বিকিনি পরে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। পুজোর পর্দায় ‘পুলিশ অফিসার সংযুক্তা’র সেই আগুনে রূপ দেখার জন্য ইতিমধ্যে প্ল্যান কষে ফেলেছেন অনুরাগীরা। কিন্তু মিমির কী পরিকল্পনা এই পুজোয়? অভিনেত্রী জানালেন, “পঞ্চমীতে ‘রক্তবীজ ২’-এর প্রিমিয়ার। আর ষষ্ঠীর পর গোটা বিশ্ব উলটে গেলেও আমাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না।” কেন? কারণ অভিনেত্রীর কসবার আবাসনে দুর্গাপুজো হয়। পুজোর চারদিন সেখানেই মা-বাবার সঙ্গে কাটান তিনি। এছাড়াও বন্ধুবান্ধব সমাগম লেগে থাকে বাড়িতে। তার পর আড্ডা আর খানিক খাওয়াদাওয়া। মিমি জানালেন, “এবারও বাড়ির নিচে প্য়ান্ডেলের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আর কিছুদিনের মধ্যেই আলোর রোশনাইয়ে সেজে উঠবে গোটা আবাসন।” পুজোয় এখন আর তাঁর জলপাইগুড়ির বাড়িতে যাওয়া হয় না বটে, তবে শৈশবের শারদ স্মৃতিতে ডুব দিয়ে নস্ট্যালজিক মিমি চক্রবর্তী। জানালেন, “পুজোর সময়ে ভাইবোনদের সঙ্গে সময় কাটানোর বিষয়টা খুব মিস করি। ছোটবেলায় প্রতিবার পুজোয় ম্যান্ডেটরি ছিল তুতো ভাইবোনদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া। তাছাড়া এই সময়টায় আমরা একটু বাড়তি ছাড়ও পেতাম। কখন বাড়ি ঢুকব, কখন খাওয়াদাওয়া করব, এসবে তেমন কোনও বাধ্যবাধকতা ছিল না। যেহেতু ঘরকুনো ছিলাম, তাই খুব একটা বেরতাম না।” তাহলে কীভাবে কাটত সময়?

স্মৃতির সরণি বেয়ে মিমি ফিরে গেলেন জলপাইগুড়িতে। জানালেন, “সারা বছর সিরিয়াল দেখার ছাড়পত্র ছিল না। তবে পুজোর সময়ে আমি টানা ঘরে বসে সিরিয়াল দেখতাম। আর নবমীতে সপরিবারে রিকশা করে জলপাইগুড়িতে ঠাকুর দেখতে বেরতাম। আমাদের ভোট হত, কে কার সঙ্গে রিকশায় বসবে? ঝগড়াও লাগত সেটা নিয়ে। কারণ দিদিভাইয়ের সঙ্গে কেউ বসতে চাইত না, বকুনি খাওয়ার ভয়ে। আমি যেহেতু ভাইবোনদের কাছে মজার, তাই ওরা আমার সঙ্গে বসতে চাইত। ফুচকা, রোল, কোল্ড ড্রিংকস খাওয়ার জন্য পুজোর সময়টা আমরা সবাই পকেট মানি পেতাম। মা-বাবা হয়তো একশো-দুশো টাকা দিতেন। এছাড়াও বাড়ির গুরুজনদের থেকেও আমাদের হাতখরচ কালেকশন হয়ে যেত। আমার পুজো ওসব নিয়েই কেটে যেত। মণ্ডপে একদমই যেতাম না।”

পুজোর আরেকটি মজার স্মৃতি ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী। মিমি চক্রবর্তী জানালেন, “দশমীর দিন একটা রেওয়াজ ছিল ঠাকুরের পায়ে বই ছুঁইয়ে নিয়ে আসা। আমি সবথেকে কঠিন সাবজেক্টের বইগুলি দিয়ে চলে আসতাম। আর বিজয়ার দিন পাড়ার সবার বাড়িতে প্রণাম করতে যেতাম। বহুবার এমনও হয়েছে যে, প্রণাম করার আগেই কারও কারও বাড়িতে গিয়ে মিষ্টিমুখ করে ফেলতাম। ফেলে আসা এই দিনগুলি খুব মিস করি। এখন আমার পুজো কসবার বাড়িতেই কাটে।” উল্লেখ্য, আবাসনের এই পুজো মিমিদের উদ্যোগেই প্রথম শুরু হয়েছিল। বছরখানেক ধরে পুজোর চারদিন সেই মণ্ডপেই মিমিকে কখনও পুণ্যার্থীদের হাতে হাতে অঞ্জলির ফুল-বেলপাতা তুলে দিতে দেখা যায়, আবার কখনও বা ক্যামেরাবন্দি হয় তাঁর ধুনুচি নাচ, ঢাক বাজানোর মুহূর্ত।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ