সৃজিত মুখোপাধ্যায় (ছবি- কৌশিক দত্ত)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় ফি বছর পুজোর মরশুমে পর্দাজুড়ে দর্শকের জন্য উপহারের ঝুলি উজাড় করে দেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। তবে এবার পুজো রিলিজের ভিড়ে পরিচালক নেই! বরং পুজোটা কাটাবেন ‘দর্শক’ হিসেবেই। শারদোৎসবের চার-চারটে দিন কী করবেন? এখন থেকেই প্ল্যান ‘সর্টেড’ টলিউডের ‘ফার্স্ট বয়’-এর।
উৎসবের মরশুমে বড় পর্দার রিলিজ না থাকলেও সৃজিত কিন্তু তাঁর ‘ম্যাজিক’ থেকে দর্শককে একেবারে বঞ্চিত করছেন না। কারণ বছর ছয়েক অপেক্ষার পর এই পুজোতেই মুক্তি পাচ্ছে তাঁর পরিচালিত দ্বিতীয় ফেলুদা সিরিজ। পুজোর পরিকল্পনা ভাগ করে নিতে গিয়ে পরিচালকের রসিক মন্তব্য, “এবার পুজোয় বহুদিন বাদে আমার হাত-পা ঝাড়া। শুধু আমার একটা ‘ফেলুদা’ সিরিজ রিলিজ করছে- ‘যত কাণ্ড কাঠমান্ডু’তে। আর ওই ফেলুদা রিলিজ নিয়ে হয়তো কিছু কাজকর্ম থাকবে। এছাড়া হাতে পপকর্নের টাব নিয়ে বসে যাব। পঞ্চমী থেকে দশমী শুধু দেখব, কে, কোথায় কত গোল দিচ্ছে? একদম প্ল্যান সর্টেড।” অতঃপর চারদিন চারটে সিনেমা দেখার পাশাপাশি পপকর্ন হাতে যে বক্স অফিসের স্কোরবোর্ডের দিকেও নজর থাকবে তাঁর, সেকথাও জানিয়ে দিলেন পরিচালক। সৃজিতের সংযোজন, “এবারের পুজোয় ‘রঘু ডাকাত’, ‘রক্তবীজ ২’, ‘যত কাণ্ড কলকাতাতেই’, ‘দেবী চৌধুরাণী’ এই চারটে বাংলা সিনেমা রিলিজ করছে। আমি তো দেখবই। দর্শকদের উদ্দেশেও বলছি, দয়া করে আপনারাও দেখবেন।”
পুজোর নস্ট্যালজিয়া প্রসঙ্গে সৃজিত মুখোপাধ্যায় জানান, “আমি ভবানীপুরের ছেলে। ওখানেই জন্ম, বড় হওয়া। সে সময় আমাদের কোনও নিজস্ব পুজো ছিল না। মানে হাউজিংয়ে যেরকম নিজেদের পুজো হয়, সেরকম কিছু ছিল না। ফলে ছোট-বড় মণ্ডপ, বারোয়ারি পুজোয় ঘুরে ঘুরেই ঠাকুর দেখতাম ছোটবেলায়। এই পর্বে সবথেকে বেশি স্মৃতি জমা হয়ে আছে ম্যাডক্স স্কোয়ারকে ঘিরে। বাড়ির একদম কাছেই ছিল। আর ম্যাডক্সের পুজো যেমন জমজমাট, ওখাকার স্মৃতিও সেরকমই টাটকা। ছোটবেলার পুজো মানেই তো মা-বাবার সঙ্গে ঘুরে বেড়ানো। একটু বড় হওয়ার পর বন্ধুদের সঙ্গে বেরনো, দেদার খাওয়া-দাওয়া৷ মোটামুটি এগুলোই মনে পড়ে। তবে চোদ্দ বছর পর পালা বদলায়। মানে ভবানীপুর ছেড়ে আমরা লেক গার্ডেন্সের একটা সরকারি হাউজিং কমপ্লেক্সে উঠে আসি। এই হাউজিংয়ে পুজো হত। ওই পনেরো বছর বয়স নাগাদ আমি প্রথম একটা নিজস্ব পুজো পাই। সেটা নিঃসন্দেহে দারুণ একটা অনুভূতি ছিল। নিজেদের পুজোয় সময় কাটানো, অঞ্জলি দেওয়া আলাদা মজার ব্যাপার।”
স্মৃতির সরণি বেয়ে সৃজিত জানান, “স্টেজ সাজানো থেকে প্রতিমা আনা, ভাসান দেওয়া পর্যন্ত সব কাজ আমরাই করতাম। আমার যখন ২২ বছর বয়স তখনও পর্যন্ত ওখানেই ছিলাম আমরা। পুজোর স্মৃতি বলতে তাই এই হাউজিংয়ের পুজোর কথাই আমার বেশি মনে পড়ে। বয়সটাও তখন সেরকম ছিল। প্রথম প্রেম থেকে বন্ধুদের সঙ্গে প্রথম হোল নাইট ঠাকুর দেখা- সবটাই এই পর্বে। এখনও সেসব স্মৃতি তরতাজা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.