সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘পুজো’! একটি শব্দেই বাঙালির বুকের মধ্যে ঢাকের বোল। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব একেবারে দোরগোড়ায়। সময় যতই পালটে যাক, আধুনিকীকরণের ছোঁয়ায় ঐতিহ্যকেই আঁকড়ে ধরতে চাই আমরা। তেমনই এবার বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়ের তরফে দর্শকদের পুজোর উপহার হিসেবে থাকছে পিরিয়ড ড্রামা ‘দেবী চৌধুরানী’। যে ছবিতে ‘নিশি’র ভূমিকায় অভিনেত্রী। তাই এবারের দুর্গাপুজো অভিনেত্রী বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়ের জন্য খুব স্পেশাল।
শুভ্রজিৎ মিত্র পরিচালিত ‘দেবী চৌধুরানী’ ছবিতে তাৎপর্যপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন বিবৃতি। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাস ও বাস্তব ঘটনার আধারে, সন্ন্যাসী বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে এই ছবির চিত্রনাট্য। ভবানী পাঠকের চরিত্রে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় আর নামভূমিকায় শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবৃতিকে পাওয়া যাবে ‘নিশি’র চরিত্রে। ডাকাতের বেশে তিনিও এক যোদ্ধার ভূমিকায়। ভবানী পাঠকের দলের এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়। চিত্রনাট্য অনুসারে রঙ্গরাজ (অর্জুন চক্রবর্তী) আর নিশিই (বিবৃতি) দেবী চৌধুরানী বা প্রফুল্লকে খুঁজে পায়। অভিনেত্রী জানালেন, “ছবিতে রঙ্গরাজ আর নিশিকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে দেখা যাবে। বেশ কিছু অ্যাকশন সিকোয়েন্স রয়েছে আমারও। আমার চরিত্রের একটা অতীত কাহিনিও রয়েছে। প্রসঙ্গত, এটা আমার দ্বিতীয় পুজো রিলিজ। এর আগে যখন ‘ব্যোমকেশ গোত্র’তে করেছিলাম, সেটাও ছিল পুজো রিলিজ। আর ওই ছবিতেও অর্জুনের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলাম, এই ছবিতেও সেটাই ঘটল। আরও একটা মজার ব্যাপার, সেই ছবির ব্যোমকেশের (আবির চট্টোপাধ্যায়) সঙ্গে কিছুদিন আগেই অভিরূপ ঘোষ পরিচালিত ছবিতে কাজ করলাম। ফলে পুজোর আগেই অনেক নস্ট্যালজিয়া ছুঁয়ে গেল।” শুধু কাজের নিরিখে নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও পুজোর দিনগুলো এবার বিবৃতির কাছে বিশেষ। কারণ, চলতি বছরে অভিনেত্রীর বাড়ির পুজোর ২৫ বছর পূর্তি। তাঁর মাসি-মেসোর বাড়ির পুজো এটি। তার ঠিক পাশেই বিবৃতির বাড়ি। ফলত, এবারের দুর্গোৎসবে তাঁর দ্বিগুণ আনন্দ!
পুজো মানেই ছোটবেলার স্মৃতিতে ডুব দেওয়া। নস্ট্যালজিয়ার সরণি বেয়ে বিবৃতিও ফিরে গেলেন শৈশবের দিনগুলিতে। জানালেন, “অবশ্যই, আমার কাছে ছোটবেলার পুজো মানেই প্রচুর জামাকাপড় উপহার পাওয়া। তখন তো, নিজেরা শপিং করতাম না। তাই বাড়ির বড়রাই কিনে এনে দিতেন। সেই ব্যাপারটা খুব আনন্দের ছিল।” আর পেটপুজো? এপ্রসঙ্গে বিবৃতি জানালেন, “আমাদের বাড়িতে যেহেতু দুর্গাপুজো হয়, তাই প্রত্যেকদিনই নানারকম পদ তৈরি হয়। তবে আমার প্রিয় দশমীর দিনের ডাল, ভাত আর আলুভাজা। এটাই আমার সবচেয়ে কমফোর্ট ফুড।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.