সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন ‘কারগিল বিজয় দিবস’। ১৯৯৯ সালে দেশের কারগিল যুদ্ধে বিজয়ের নেপথ্যে রয়েছে অসংখ্য মানুষের আত্মত্যাগ। রয়েছে বহু সৈনিকের আত্মবলিদান আর সেই সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে বহু পরিবারের আত্মত্যাগের ঘটনা। সেই আত্মত্যাগে জড়িয়ে রয়েছে বহু তারকার নামও। বলিউডের এমন অনেক তারকা আছেন যাঁদের পরিবারের সদস্য ছিলেন সেনাদলে। বুক চিতিয়ে লড়াই করেছিলেন। তাঁদের মধ্যেই একজন হলেন অভিনেত্রী সেলিনা জেটলি। অভিনেত্রীর বাবা ও ঠাকুরদা দু’জনেই ছিলেন সেনাবাহিনীতে। দাদু কর্নেল ই ফ্রান্সিস লড়েছিলেন ১৯৬২ সালের চিন যুদ্ধে। রাজপুতানা রাইফেলসের অংশ ছিলেন তিনি। চিনের সঙ্গে সেই যুদ্ধে তিনি গুরুতর জখম হন। কিন্তু তা সত্ত্বেও শত্রুপক্ষকে সূচাগ্র মেদিনী ছাড়েননি তিনি। অন্যদিকে অভিনেত্রীর বাবা, কর্নেল বিক্রম কুমার জেটলি লড়েছিলেন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে। এমনকি কারগিল যুদ্ধেও সামিল ছিলেন তিনি পরোক্ষভাবে। এদিন কারগিল বিজয় দিবসে স্মৃতির সরণীতে হাঁটলেন আর্মিকন্যা সেলিনা।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এই নিয়ে অভিনেত্রী বলেছেন, “বাবা ছিলেন ১৯৭১ সালের যুদ্ধের একজন অভিজ্ঞ সৈনিক। এমনকি কারগিল যুদ্ধের সময় কুমায়ুন রেজিমেন্টের একজন পদাতিক সৈনিক ছিলেন তিনি। বাবা সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে লড়াই না করলেও, তিনি এই যুদ্ধের সঙ্গে পুরোদস্তুর যুক্ত ছিলেন। যোগাযোগ, পরিচালনা এবং অস্ত্রসস্ত্র সরবরাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ ছিলেন বাবা। বেস থেকে গোটা যুদ্ধের উপর নজরজারি চালিয়েছিলেন তিনি। ওই ঘটনার সময় আমি কিশোরী। কিন্তু সেই যুদ্ধের সময়ের সমস্ত স্মৃতি আজও আমার মনে উজ্জ্বল। শুধু তাই নয় একজন সৈনিককন্যা হিসাবে আমি সেই দায়িত্ব বহন করার চেষ্টা আজও করি।”
View this post on Instagram
সেলিনা আরও বলেন, “আমার মনে আছে সেসময় ওই যুদ্ধে পরিবারের মানুষকে হারিয়ে কীভাবে এক একজন সৈনিকের পরিবারের সকলে ভেঙে পড়েছিলেন। কীভাবে সন্তান হারা মা-বাবা শোকে পাথর হয়ে যেতেন। স্বামী হারিয়ে একজন স্ত্রী কীভাবে শোকে বিহ্বল হয়ে পড়তেন। এসব ভীষণ হৃদয়বিদারক প্রতিটি ঘটনা আজও আমার কাছে স্পষ্ট। সব মনে রয়েছে আমার। সেনাবাহিনীতে থাকা প্রত্যেকের পরিবারের সদস্যদের সেসময় তুমুল উৎকন্ঠা ও মানসিক যন্ত্রণা কুরে কুরে খেয়েছে। প্রত্যেকে দুশ্চিন্তায় দিন কাটিয়েছেন।” সেলিনার কথাতেই স্পষ্ট যে, ২৬ বছর পরও এই কারগিল যুদ্ধের স্মৃতি অভিনেত্রীর কাছে কতটা উজ্জ্বল। প্রতিটি সৈনিকের পরিবার তখন এক অপরের সঙ্গে বাস্তবে সহাবস্থান না করলেও মানসিকভাবে তাঁরা কীভাবে এক ছিলেন সেই বিষয়ও তুলে ধরেছেন সেলিনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.