Advertisement
Advertisement
Mahanayak Samman 2025

বাংলা সিনেমায় বিশেষ অবদানের জন্য ‘মহানায়ক’ সম্মানে ভূষিত গার্গী-গৌতম-ইমন

পঁচিশের 'মহানায়ক' সম্মানে সম্মানিত কারা? একনজরে রইল তালিকা।

CM Mamata Banerjee announces Mahanayak Samman 2025
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:July 24, 2025 5:13 pm
  • Updated:July 24, 2025 5:24 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৩ সালে রাজ্য সরকারের তরফে প্রথম ‘মহানায়ক’ সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তারপর থেকে দেব, সোহম চক্রবর্তী, অঙ্কুশ হাজরা প্রতিবছর কোনও না কোনও তারকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। এবার অভিনয়দুনিয়া থেকে গার্গী রায়চৌধুরীর হাতে মহানায়ক সম্মান তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধনধান্য স্টেডিয়ামের মহানায়ক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এদিন উপস্থিত ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সোহম চক্রবর্তী, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল, অম্বরীশ ভট্টচার্য, হরনাথ চক্রবর্তী, সৌমিতৃষা কুণ্ডু, অদিতি মুন্সী-সহ আরও অনেকে।

Advertisement

২০২৫ সালে মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে মহানায়ক সম্মান নিলেন যাঁরা, একনজরে রইল তালিকা-

পরিচালক- গৌতম ঘোষ
অভিনেত্রী- গার্গী রায়চৌধুরী
গায়িকা- ইমন চক্রবর্তী
গায়ক- রূপঙ্কর বাগচী
মেকআপ – সোমনাথ কুণ্ডু
প্রোডাকশন ডিজাইন – আনন্দ আঢ্য

পুরস্কার প্রদানের পর মুখ্যমন্ত্রী সকলের সঙ্গে মঞ্চে একফ্রেমে ধরা দিলেন। এবং সর্বপরি মনে করিয়ে দিলেন ক্যামেরার নেপথ্যের মানুষেরা, অর্থাৎ কলাকুশলীদের অবদান অভিনেতা-অভিনেত্রীদের থেকে কম কিছু নয়। উল্লেখ্য, চলতি বছর পুরস্কারের তালিকায় ‘সুপারস্টার নাম’ ব্রাত্য বললেও অত্যুক্তি হয় না! বরং অভিনেত্রী গার্গী রায়চৌধুরীর পাশাপাশি পরিচালক, গায়ক-গায়িকা থেকে রূপটানশিল্পী, আর্ট ডিরেক্টরদের ‘মহানায়ক’ সম্মানে ভূষিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

বাঙালির ‘একমেবাদ্বিতীয়ম’ ম্যাটিনি আইডল। উত্তমকুমার। মৃত্যুর ৪৫ বছর পর আজও বাংলা সিনেদুনিয়ায় একইভাবে সমুজ্জ্বল মহানায়ক। প্রজন্মের পর প্রজন্ম মহানায়ক বলতে অরুণ চট্টোপাধ্যায়কেই জানেন, চেনেন। তাই তো ২৪ জুলাই এখনও বাঙালির নস্ট্যালজিয়ায় ধরা পড়ে সেই ভুবন ভোলানো হাসি। সেই ম্যানারিজম। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তম স্মরণেও সেই একই কথা যেন উঠে এল। এদিন আক্ষেপ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার জীবনের আপসোস সুচিত্রা সেনের মৃত্যুর কয়েকদিন আগেও দেখা হয়েছে ওঁর সঙ্গে। সুপ্রিয়াদির সঙ্গেও আমার দীর্ঘদিনের যোগাযোগ ছিল। উত্তম কুমারের সঙ্গে যাঁরা কাজ করেছেন তাঁদের সকলের সঙ্গে দেখা হয়েছে আমার। কিন্তু উত্তম কুমারের সঙ্গেই দেখা হল না। ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে হাত ধরে ভবানীপুরের বহু সিনেমা হলে মহানায়কের ছবি দেখেছি। আমি হয়তো ঘুমিয়ে পড়তাম। কিন্তু ওঁর ছবির গানগুলো মনে রয়ে যেত। কী শ্রুতিমধুর।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ